বাঁশখালী জনপদ ডেস্ক: বাঁশখালীতে আবুহান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের ফাঁসি এবং অপরাপর আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরী চৌমুহনী প্রধান সড়কে গুনাগরী সচেতন নাগরিক ও গুনাগরী শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের ব্যানারে দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৭ আগস্ট সকালে নিজ বাড়ীর পাশে পেয়ারা বাগান থেকে পেয়ার খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আবুহানকে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বাঁশখালী থানায় চার জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করেন শহীদ আবুহানের চাচা ফরিদ আহমদ। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলী আক্কাস কৌশলে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বাকী আসামী আব্দুল আলীম, আব্দুল কাদের ও আমিন পলাতক রয়েছে। এদিকে আদালতে আত্মসমর্পণকারী প্রধান আসামীকে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গুনাগরী ইয়াং স্টার ক্লাবের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে পথসভায় বক্তব্য রাখেন- বাঁশখালী উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মঈন উদ্দীন মামুন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নাট্য ও বির্তক বিষয়ক সম্পাদক মো. রহিম উদ্দীন হৃদয়, ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হোসাইন মিশু, জোবাইয়ের আলম, কালীপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধনপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজুল হক মুন্না, নজরুল, গিয়াস উদ্দীন, তৌহিদ, মহিউদ্দীন, আজম খাঁন প্রমূখ।
পথসভায় বক্তারা কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করে বলেন, শহীদ আবুহানের হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের কার্যক্রমের ধীরগতি ও আসামীদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।নিহতের স্বজনরা খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান প্রশাসনের কাছে। এই হত্যাকান্ডে জড়িত অপরাপর আসামীদের অবলিম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। আগামী ৭দিনের মধ্যে যদি আসামীদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলেও মানববন্ধনে হুশিয়ারী প্রদান করেন বক্তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন