বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত থেকে বালি উত্তোলন করছে দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সম্ভাবনার পর্যটন এলাকা খ্যাত দেশের অন্যতম বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে কিছু অসাধু বালুখেকো ব্যবসায়ী প্রশাসনের অগোচরে প্রাকৃতিক সম্পদ (সমুদ্র সৈকতের বালি) উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়ায় হারাতে বসেছে সৈকতের চিরচেনা সৌন্দর্য। সৈকতের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘন ফুট বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা এমনটি দাবী স্থানীয় উপকূলবাসীর। এর ফলে রক্ষা করা যাচ্ছে না প্রায় ২শত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়ীবাঁধ ও বেড়ীবাঁধ রক্ষায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক নির্মিত সৃজিত বন বিভাগের ঝাউবাগান। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে খানখানাবাদের কদমরসুল ও বাহারছড়া সৈকত এলাকা।
গত বুধবার খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় সমুদ্র সৈকত থেকে দুর্বৃত্তদের বালি উত্তোলন করতে দেখা যায়। ট্রাকভর্তি করে এসব বালি অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ক্ষোভ প্রকাশকারীরা অবিলম্বে এ বালি উত্তোলনকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন। বালি সিন্ডিকেটের বিরোদ্ধে স্থানীয় সচেতন মহলও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অনুসসন্ধানে জানা যায়, কদমরসুল এলাকার মৎস্য সমিতির নেতা তারেকুল ইসলামের নেতৃত্বে সৈকত থেকে বালি উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি প্রায় সময় বালি উত্তোলন করে বলে জানায় স্থানীয়রা। এমনকি রাতের অন্ধকারে মৎস্য অাহরণ কাজে ব্যবহারের জন্য ঝাউ বাগান থেকে ঝাউ গাছও কর্তন করে নিয়ে যায় বলেও জানানা প্রতক্ষ্যদর্শীরা।
স্থানীয় শওকতুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যবসায়ীরা বালি বিক্রি করছে।'
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার বলেন, 'খানখানাবাদের কদমরসুল এলাকার সৈকত থেকে দুর্বৃত্তদের বালি উত্তলনের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। পরিবেশ বিরোধী বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।'
বালি উত্তোলনকারী পশ্চিম বাঁশখালী মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি তারেকুল ইসলাম জানান, 'কদম রসুল এলাকায় সৈকত সংলগ্ন বেড়ীবাঁধটিই এলাকাবাসীদের চলাচলের রাস্তা। হযরত বড় মাওলানা সড়কটি চলাচল অযোগ্য হলে আমাদের মৎস্য সমিতির উদ্যোগে প্রয়োজনের তাগিদে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহারের জন্য বালি উত্তোলন করা হয়েছে। বালি উত্তোলন করে বিক্রির কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য বলে দাবী তার।
তাছাড়া রাতের অন্ধকারে মৎস্য অাহরণ কাজে ব্যবহারের জন্য ঝাউ বাগান থেকে ঝাউ গাছও কর্তন করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগকেও নাকচ করেন তিনি।


বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'র অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

  • banshkhalijanaphad24@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.