এবারের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বৌদ্ধ বিহার গুলোতে নানা আয়োজনে করেছে সামাজিক সুরক্ষা মেনে। অনুষ্টান মালার মধ্যে ছিল বুদ্ধ পুজা, সীবলী পুজা, অষ্ট উপকরন দান,পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহন , আকাশ বাতি (ফানুস) উত্তোলন। উপরোক্ত কর্মসুচী সমুহ জলদী ধর্মরত্ন বিহারে শ্রীমৎ ধর্মপাল মহাস্থবিরের, শীলকুপ জ্ঞানোদয় বিহারে শ্রীমৎ রাহুলপ্রিয় মহাস্থবিরের, দক্ষিণ জলদী বিবেকারাম বিহারে শ্রীমৎ তিলোকানন্দ মহাস্থবিরের, কেন্দ্রীয় শীলকুপ চৈত্য বিহারে শ্রীমৎ দেবমিত্র মহাস্থবিরের, সংঘরাজ অভয়তিষ্য পারিজাত আরামে শ্রীমৎ মৈত্রীজিৎ স্থবিরের, পুইছড়ি চন্দ্রজ্যেতি বিহারে শ্রমিৎ ধর্মপাল স্থবিরের সভাপতিত্বে ও জলদী প্রজ্ঞাদর্শন মেডিটেশন বিহারে, জলদী প্রগতি বিহারে ও বোধিচৈত্য বিহারে অনুষ্টিত হয়। মহান প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজমী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর আগে প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করা হয়। এদিকে আগামী ১৪ অক্টোবর বুধবার-শীলকুপ জ্ঞানোদয় বিহার,১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার-কাহারঘোনা মিনজীরিতলা সংঘরাজ অভয়তিষ্য পারিজাত আরাম, ১৬ অক্টোবর পুঁইছড়ি চন্দ্রজ্যোতি বিহার, ১৭ অক্টোবর শনিবার-বাঁশখালী কেন্দ্রীয় শীলকুপ চৈত্য বিহার, ১৮ অক্টোবর রবিবার-বাঁশখালী পৌরসদরস্থ জলদী ধমর্রত্ন বিহার, ১৯ অক্টোবর সোমবার-দক্ষিণ জলদী বিবেকারাম বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্টিত হবে। প্রবারণা পুর্ণিমা ও কঠিন চীবর দানের অনুষ্টান সফল করার জন্য বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া সকলের প্রতি আহবান জানান।
বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমায় পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ও থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা অফিসার মু. রেজাউল করিম মজুমদার বাঁশখালীর প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন