জনপদ সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় উল্টো স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দেয় স্ত্রী। মামলা থেকে জামিনের খবর পেয়ে কৌশলে স্বামীকে ডেকে এনে স্বামীর ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালায় স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
স্বামী শহিদুল ইসলামের (২৫) দাবি, হত্যার উদ্দেশ্যে তছলিমা আক্তার মুন্নিসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ব্লেড দিয়ে গুরুত্বর জখম ও জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে দিয়েছে।
ঘটনাটি বাঁশখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শহিদুল উপজেলার সরল ইউনিয়নের মিনজীরিতলা গ্রামের হাফেজ নুর হোছাইনের পুত্র। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শহিদুলের পিতা নুর হোসেন বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তছলিমা আক্তার মুন্নি, তার বড় ভাই বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সহকারি সার্জন ডা. রাশেদুল ইসলামসহ ৭ জনকে বাদি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের আগে সম্পর্ক থাকা একজনের সাথে মোবাইল ফোনে পরকিয়া করার সময় শহিদুলের কাছে ধরা পড়ে তছলিমা আক্তার মুন্নি। পরে তছলিমা আক্তার মুন্নি বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে মুন্নি বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শহিদুলের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। গত ২২ ডিসেম্বর সেই মামলা থেকে জামিন নেয় শহিদুল। স্ত্রী মুন্নি বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে শহিদুলকে তার বাবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে বর্বোরচিত হামলা চালায় এবং জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে দেয়। পরে শহিদুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
শহিদুলের পিতা নুর হোসেন বলেন, জ্ঞান হারানোর পর এলাকাবাসী মারফত খবর পেয়ে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে আসামিদের প্রভাব থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনি। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করাই। শহিদুল এখন মৃত্যু সয্যায়।
এদিকে শহিদুলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বর্বরোচিত নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে উল্টো সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাঁশখালী পৌরসদর জলদীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শহিদুলের স্ত্রী তছলিমা আক্তার মুন্নির বড় ভাই রাসেদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার উত্তর জলদীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকার পাড়ার মোহাম্মদ নুরুল কাদেরের কন্যা তছলিমা আক্তারের সাথে ২ বছর আগে বিয়ে হয় মাওলানা শহীদুলের। তাদের সংসারে ১ বছর ৩ মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
ছবিঃ ব্লেড দ্বারা ক্ষতবিক্ষত শরীরে অজ্ঞান অবস্থায় চমেক হাসপাতালে শহিদুল
banshkhalijanaphad24@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন