বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

বাঁশখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ দোকান ভাংচুর নগদ টাকাসহ লুটপাট


জনপদ ডেস্ক রিপোর্ট: বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরলিয়া বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ দোকানের নগদ অর্থসহ মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি ছুড়ে ব্যবসায়ীদের মারধর করে দোকান ভাংচুর, লুটপাট করেছে। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা এগিয়ে অাসলে সন্ত্রাসীরা কলিম উল্লাহ (৪০) নামে একজন ব্যবসায়ীকে মারাত্মকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে জখম করেছে।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে  উপজেলার পুঁইছড়ির সরলিয়া বাজারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাতের এ ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনকার মতো ব্যবসায়ীরা রাত ৯টার দিকে দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার অাগে অাগেই পুঁইছড়ি ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অাবু নোমান চৌধুরী, অাতাউর রহমান চৌধুরী ও সগির চৌধুরীর নেতৃত্বে ছনুয়ার মানিক ডাকাত, সোলেমান ডাকাত, জরিনা অাক্তার বুলবুলি ডাকাত সহ ৩০/৩৫ জনের সশস্ত্র  একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অাগ্নেয়াস্ত্র, দা, ছুরি, কিরিচ নিয়ে সরলিয়া বাজারে কয়েক রাউন্ড গুলি  চালালে ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এলোপাথারি দৌড়তে থাকে।

এসময় সন্ত্রাসীরা বাজারের অাবু তৈয়ব পারভেজের হোটেল বনসাঁই, সাজ্জাদ হোসেনের মুক্তা ফার্মেসী, গিয়াস উদ্দীন মানিকের মোবাইলের দোকান, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স'র অফিস, শীতল দাসের সেলুনের দোকান, কলিম উল্লাহ সওদাগরের পানের দোকান, রিয়াজ সওদাগরের চাউলের দোকানে সন্ত্রাসী হামলা করে ব্যাপক লুটপাট করেছে।

ভাংচুর চালিয়ে দোকানের ক্যাশে রক্ষিত টাকা, মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা হোটেল বনসাঁইয়ে রাখা মৎস্য চাষের সরকারী উপকরণ লুটপাত ও ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা বাজারের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের পর বাজারের পার্শ্বস্থ অাবুল কাসেম ও কলিম উল্লাহ'র ঘরে ডুকে আলমিরা ভেঙ্গে  ৪ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও লুটতরাজের সময় কলিম উল্লাহ নামে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম প্রহার ও বন্ধুকের নল দিয়ে খুঁছিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে নিয়ে যায়। তাকে নির্যাতন করে বুধবার সকালে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় রেখে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বস্থ একটি সুত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বাজারের জায়গা দখল নিতে দীর্ঘদিন থেকে অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে অাসছে। ওই ধারাবাহিকতায় এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনরত বাঁশখালী থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক নুর নবী টিপু সন্ত্রাসী হামলায় দোকান ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত। ক্ষতিগ্রস্থরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাঁশখালী জনপদ২৪.কম/রানা

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.