বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

আজ ঐতিহাসিক শোকাবহ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস



ছবি : সংগৃহীত - ছবিতে বা থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
ছবি : সংগৃহীত - ছবিতে বা থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান












আজ শোকাবহ কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালি জাতির জীবনে আরেকটি নির্মম বর্বরত দিন অধ্যায়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম. মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ. এম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর খুনি মোশতাক ও জিয়াচক্র কারান্তরালে এই জাতীয় চার নেতাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এই জাতীয় চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশে ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং তাদের হত্যার রাজনীতিকে পরাজিত করেছে।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আজ এদেশের জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে চলেছে দুর্বার। এবারে জেলহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার- বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও আওয়ামী লীগ সমগ্র বাঙালি জাতির সাথে সশ্রদ্ধচিত্তে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে শোকাবহ এ দিবসটিকে স্মরণ ও পালন করবে এবং এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

জেলহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি :
৩ নভেম্বর, শনিবার : সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের কালরাতে শহীদ ও কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।

রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল মোনাজাত।

বিকাল ৩টা স্মরণ সভা। স্থান : কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন (খামারবাড়ি, ফার্মগেইট)।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি। বক্তৃতা করবেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন শাখা এবং সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং সর্বস্তরের জনগণকে ৩ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদা ও শোকাবহ পরিবেশে জেলহত্যা দিবস পালনের জন্য আহবান জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.