বাঁশখালীতে প্রেমের ফাঁদে জেডিসি পরিক্ষার্থী ৭ মাসের অন্ত:স্বত্বা পালিয়েছে প্রেমিক!
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ওই এলাকার ইউপি সদস্যের ছেলে জোনাইদ বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ধর্ষিতার বসতঘরের পশ্চিম পার্শ্বে মাটির দেওয়াল ও টিনের চাউনীযুক্ত টয়লেটের ভিতরে পুনরায় শারীরিক মিলনের নামে ধর্ষণ করে। ওই সময় মেয়ের মা টয়লেটে গেলে দরজা বন্ধ দেখিয়া ধাক্কা দিলে মুহূর্তেই ধর্ষক জোনাইদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে কাপড় ছোপড় অর্ধ খোলা অবস্থায় দেখিয়া জিঙ্গাসা করিলে মেয়ে বিস্তারিত ঘটনার বর্ণনা প্রদান করে তার মাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি মেয়ের মা ওই ছেলের পরিবার কে বিষয়টি জানালে তারা কোন ধরনের উদ্দ্যোগ গ্রহন না করে আমাদের কে বিভিন্ন প্রকারের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। বর্তমানে আমরা প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে আছি।
এ বিষয়ে মুটোফোনে জানতে চাইলে ধর্ষকের মা ইউপি সদস্য কহিনুর আক্তার বলেন, এটা আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। ধর্ষিতা ৭ মাসের আন্ত:স্বত্বার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মেয়ে অন্ত:স্বত্বা হয়েছে তা টিক, তো আমি কি করব, তাই বলে কি আমার ছেলেকে বিয়ে করতে হবে নাকি!হয়তো অন্য কারো সাথে অবৈধ মেলামেশা করে আন্ত:স্বত্বা হয়েছে।
এ বিষয়ে গন্ডামারা ইউপির (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ জানান, 'ঘটনার বিষয়টি মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে অবিহীত করেছে। তবে এ ঘটনাটি একটি আমলযোগ্য অপরাধ, এটা ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার বহি:র্ভূত বিষয় বিধায় তাদের বিচার প্রার্থনার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করার পরামর্শ দিই।'
মেয়ের বাবা জানান এবিষয়ে বাঁশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম/রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন