নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপদে ও নির্ভীঘ্নে প্রচার প্রচারণা ও সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের যথাযত হস্তক্ষেপ চেয়ে শেখেরখীল রাজপরী কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের নাগরিক ঐক্য পরিষদ এর আপেল প্রতীকে মনোনীত (স্বতন্ত্র) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত শুক্রবার পুকুরিয়ায় নৌকা সমর্থিত প্রাথীর লোকজন নিজেরা ককটেল ফাটিয়ে নিজেদের পুরাতন মোঠর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর উল্টো অভিযোগের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মামলা হামলার হুমকী ধমকী দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নির্বাচনী প্রচারণায় চাম্বল, বৈলছড়ি, সরল, পুকুরিয়া সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এপর্যন্ত আমাদের বেশ কয়েকটি গাড়ী, মাইক ভাংচুর করেছে। নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর লোকেরা তাদের ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ তুলেন তিনি। দিন-দুপুরে ভোট ডাকাতি করতে দেওয়া হবেনা বাঁশখালীতে। বিজয়ের মাসে আরেকটা বিজয় চিনিয়ে আনতে ভোট ডাকাতিকে প্রতিহত করবে আমাদের ভোটাররা।
জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এক ধরনের রাজনৈতিক চাপের মধ্যে উদ্বিগ্ন বিরাজ করছে বাঁশখালীর লোকজন। আমরা ভোটে থাকতে চাই অথচ আ'লীগ ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে এসব করছে। ভোট কেন্দ্র দখল করে, ত্রাস সৃষ্টি করে এমপি হওয়ার নেশায় আমাদের নেতাকর্মীদেরকে গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। এ পর্যন্ত আমাদের ১৩ জন কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জনগণকে ভয় পেয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিজয়ী হতে চায়। যত চেষ্টা করা হোক তিনি মাঠ ছাড়বেন না বলেও জানান। বাঁশখালীতে অবাধ, নিরাপদ ও নির্ভীঘ্নে যাহাতে সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তার জন্য তিনি প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রার্থীর নির্বাচনী চিফ এজেন্ট এডভোকেট আবু নাছের, জি.এম সাইফুল ইসলাম, হামেদ এলাহী, আহসান উল্লাহ, এরশাদুল ইসলাম, মো. নেছারুল হক, রাশেদুল ইসলাম এমরুল, মো. দিদারুল ইসলাম, মাওলানা নাজিম উদ্দিন, মেম্বার মোজাফ্ফর হোসেন, আক্তারুজ্জামান, মাওলানা নাদের উল্লাহ প্রমূখ বাঁশখালী নাগরিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন