বাঁশখালীতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় থমথমে পরিস্থিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরো বাংলাদশ জুড়ে নির্বাচনী ডামাঢোল বাজলেও কাঁদাছোড়াছুড়ির শেষ নেই। বাঁশখালীও তার ব্যতিক্রমে নয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী উপজেলা আসনের লাঙ্গল ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আ. লীগ দলীয় কর্মী বাদি হয়ে ২টি ও পুলিশ বাদি হয়ে অপর একটিসহ ৩টি মামলা গতকাল (শনিবার) বাঁশখালী থানায় দায়ের হয়েছে। এই তিনটি মামলায় ১২৮ জনকে এজাহার নামীয়, অজ্ঞাত ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই ৩টি মামলায় ১৫ জন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, চাম্বলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নাপোড়া যাওয়ার পথে চাম্বল বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে পৌঁছলে অতর্কিতভাবে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বন্দুক, দা ও কিরিচ নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় পূর্ব চাম্বলের আমির হোসেনের ছেলে নুরুল কাদের বাদি হয়ে মো. ফারুক হোছাইন (৪০) কে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামি দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩৬, তারিখ ২২/১২/২০১৮। সন্ধ্যা নাগাদ বৈলছড়ীতে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাতে যানবাহন বন্ধ করে ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
পুলিশের এসআই মোজাম্মেল খান বাদি হয়ে ৬ জন পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় বৈলছড়ি অভ্যারখীল ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কাসেমের ছেলে মো. খালেদ (৪৯) কে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২০ জন আসামি দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন।
গত শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে বৈলছড়ি আওয়ামীলীগের অফিস ও সিসিটিভি ভাংচুরের ঘটনায় কফিল উদ্দীন চৌধুরী বাদি হয়ে মো. খালেদকে প্রধান আসামি করে ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, বৈলছড়ি বাজারে হামলা, সড়কে ব্যারিকেড, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর আক্রমণ চালায়। বিভিন্ন ধরণের ৫০টি গাড়িও ভাংচুর করে তারা। এ সময় পাল্টা আক্রমণ করে ৬০-৭০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই ঘটনায় ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও টহল দিচ্ছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মুফিজ উদ্দীন বলেন, নির্বাচনী সহিংসতাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশসহ বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে। এবং যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম/রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন