advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

আজ অপসংস্কৃতির বেড়াজালে মুসলিম সমাজ, উত্তরণে ইসলামই সমাধান


বিয়ে করা নবী  হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সুন্নত। অতচ আমরা সুন্নতের কাজটা শুরু করি অপসংস্কৃতি দিয়ে। বিয়ের আগের রাত আর পরের রাত কেবল চলে নর্তকিদের নিয়ে গানের আসর। হিন্দী গান, ডিজে তথা যতো অশ্লীলতা অাছে সব শুরু করে বিয়ে নামক পবিত্রানুষ্ঠানে। এই যেনো বাঙ্গালীর রীতিমত আধুনিক সংস্কৃতির হাতছানি, নিজেদের সামাজিক স্টাটাসের বহিঃপ্রকাশ। নিজেদের জাহির করার অপ-কার্যক্রমই বটে। নিতান্ত মূর্খতা, অভদ্রতা, হীনতার মতো কাজকে চালিয়ে যাচ্ছি উৎসব বা আনন্দ বলে। এসব না করলে কি বিয়ের পূর্ণতা পাবেনা? নাকি সামাজিক স্টাটাসের দরপতনে এসবে মতোয়ারা মুসলিম সমাজ?

আবার দেখি ক্লাবে নিজের হালাল হতে যাওয়া স্ত্রীকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার মতো কুরুচিকর অনুকরণ ও অনুসরণ হচ্ছে। যেনো আধুনিক একটি বাংলা ফ্লিম, কেবল শো ডাউন হচ্ছে। প্রদর্শনীর একটি অপক্ষেত্রও বটে ক্লাবে স্ত্রীকে সবার দৃষ্টিগোচর করা। মুসলিম এতো বেহায়া, নিলর্জ, কু-রুচির স্বভাবের হয়ে গেছে যে, যা দেখে মনে হয় মরিচা ধরা জড় পদার্থ হয়ে গেছি আমরা মুসলিম সমাজ। পারিবারিক শান্তি আসবে কোথা থেকে? শান্তির শুরুতেই অশান্তির সব আয়োজনকে স্বাগতম জানিয়ে যাচ্ছি। আফসোস হয় চলতি আধুনিকতা দেখে। বাদ্যযন্ত্র না বাজালে, নর্তকী না নাচালে বিয়ের মতো যেন হয়না বিয়ে বাড়ী! কবে যে চৈতন্য ফিরে আসবে মুসলিম সমাজের! আর এই যদি হয় আধুনিকতা তাহলে পশুবৃত্তকে কি বলা হবে?

ছেলে-মেয়ের খৎনা/ কর্ণ ছেদন  করার সময় দেখি অপসংস্কৃতির আরেক জোয়ার। একটু রঙ্গমঞ্চ না করলে, আঞ্চলিক গান না হাকালে, মাইক, ঢোল না বাজালে কিংবা গানবাজনার আসর না জমালে কেন যেনো খৎতনা করার কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায় আমাদের সংস্কৃতিতে। হাইরে জাতী কি করে নিজেদেরকে সভ্য বলি বুঝে আসেনা। সুন্নত কাজ গুলোর শুরুটা যদি এভাবে করি তাহলে মুসলিম হিসেবে কতটুকু ইজ্জত থাকলো? "দিন দিন আমরা ধর্মীয় জ্ঞান থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, অপসংস্কৃতিকে আলঙ্গিন করছি। লোক দেখানো অনুষ্ঠানে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি অপসংস্কৃতিকে। এসবে সমাজ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে জাহেলিয়াতের দিকে। সুন্নতের কাজকে অপসংস্কৃতির চাঁদরে মুড়িয়ে ধর্মীয়জ্ঞান লোপে মত্ত হচ্ছি আমরা প্রতিনিয়ত।"

জন্মোৎসবে দেখি আবার কতো অানন্দ ফূর্তি! অতচ আফসোস করার মতো, চিন্তা করার মতো একটা বিষয়কে হাসি তামাসা, ঠাট্টার মধ্যে উড়িয়ে দিয়েছি। বছর ঘুরে ফিরে আসা জন্মদিন মানে হায়াতের বাজেট থেকে একেকটা সোনালী বছর হারিয়ে যাওয়া। অতচ তার জন্য চিন্তা করার, ভাবার দরকার। আজ আমরা বৈদেশিক অপসংস্কৃতির বেড়াজালে পড়ে অন্ধ হয়েগেছি। আল্লাহ আমাদের মুসলিম সমাজকে সঠিকত্ব বুঝার তাওফিক দিন। নিতান্ত অপচয় মূর্খতা, মূর্খতা মানেই অভিশাপ, অভিশাপ মানেই অকল্যাণ, অকল্যাণ মানে জাহান্নাম।

তাই আসুন আধুনিকতার নামে অপসংস্কৃতিকে হজম করা থেকে বিরত থাকি। পরকালকে ভয় করি। অশ্লীলতাকে আধুনিকতা বলেনা, বরং বলা চলে গোঁড়ামী। গোঁড়ামী সভ্যসমাজের কলংকও বটে। বিয়ে করা বউ( স্ত্রী) কে পর্দা করানো ফরজ। তবে ক্লাবে সাজসজ্জা প্রদর্শনের মানে কী?
আসুন মেনে চলি কোরান, হাদিস। মেনে চলি ইসলামী বিধান। মরণের পর পূনরুত্থানে বিশ্বাস করলে ছাড়ুন অপসংস্কৃতিকে। সর্বত্রই হোক ইসলামের অনুকরণ, অনুসরণ। কেননা "Islam is the Complete code of life".

-শিব্বির আহমদ রানা





[বাঁশখালী জনপদ২৪.কম'র অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।]

কোন মন্তব্য নেই