বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

শহিদ জিয়ার মাজারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা

মো.আবদুস সবুর, রাঙ্গুনীয়া হতে ফিরে: মঙ্গলবার ১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া জিয়া নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রথম সমাধিস্থলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের নেতা কর্মিদের সাথে পুলিশী বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। দুপুর ১ টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহিদুল আলম শহিদের নেতৃত্বে নেতাকর্মিদের একটি বহর জিয়াউর রহমানের মাজারে প্রবেশ করতে চাইলে সেখানকার কর্তব্য রত পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। দলীয় নেতাকর্মিরা বাঁধার সম্মূখীন হয়ে এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি ভিন্নরুপ নিলে ছাত্রদলের সভাপতি শহিদুল আলমের নির্দেশনায় জিয়ার মাজার জেয়ারত না করেই ফিরতে বাধ্য হয় ছাত্রদলের নেতা কর্মিরা। পরে পুনারায় শহিদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত নগরীর বিপ্লব উদ্যানে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার মাকসুদ জানান, চলমান পরিস্থিতিতে উপরের মহলের নির্দেশনা আছে। মাজারে কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি মাত্র।
ছাত্রদল নেতা ফরহাদ জানান, দলীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সকালে নগরীর দোস্ত বিল্ডিংস্থ দলীয় কার্যালয়ে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল শেষে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে, রাঙ্গুনীয়াস্থ শহিদ জিয়ার প্রথম সমাধি স্থলে জিয়ারতের কর্মসূচী ছিলো। শিডিউল মোতাবেক দুপুর দেড়টার দিকে আমার সেখানে পৌঁছালে পুলিশী বাঁধার সম্মূখীন হই। তাতে দলীয় নেতা কর্মিরা কিছুটা আবেগাফ্লুত হয়ে পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শহীদুল আলম শহীদ বলেন, অনেক বড় আশা নিয়ে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতার রাঙ্গুনিয়াস্থ প্রথম মাজার জেয়ারত ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করতে গিয়ে ছিলাম। সেখানে আমরা পুলিশী বাঁধার সম্মুখীন হই। তিনি বলেন এ রকম ন্যাক্কারজনক কাজ জনগণের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। পুলিশের এমন আচরণে এক নায়কতন্ত্রের সুস্পষ্ট বহিপ্রকাশ। মাজার জেয়ারত করতে না দিয়ে বাঁধা প্রদান করে শহীদ জিয়াকে এদেশের জনগণ থেকে আলাদ করা যাবে না। কারণ শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আত্মার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মো. শাহজাহান হোসেন, এডভোকেট শাকেরুল ইসলাম সাকিব, মোহাম্মদ হোসেন রুবেল, শেখ শাদী, নুরুল ইসলাম, আবদুস সবুর, ফরহাদুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন দস্তগীর, সালা উদ্দিন জাহেদ, এম মনসুর আলম, আবদুল মান্নান রানা, ইসমাইল বিন মনির, আনিসুর রহমান আনাস, ফরহাদ হোসেন আসিফ, মো. নিজাম উদ্দিন, নূর শাহেদ খান রিপন, মো. মুসা, মো. সাকিব, আবছার সিকদার, চৌধুরী মো. আসিফ, ছোটন চৌধুরী, মারুফুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন, ওসমান আহমদ শান্ত, বোরহান উদ্দিন, মো. আরমান, নিজাম খান, সাকির ইসলাম, ইঞ্জি: নুরুল আজিজ, মো. রাফি, মো. জিয়া প্রমুখ।




বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'র অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:
banshkhalijanaphad24@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.