![]() |
বাঁশখালীতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার চাঁদাবাজি মামলার আসামী মৌলভী আবু ছিদ্দিক। |
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁশখালীতে ওলামালীগ নেতা পরিচয়দানকারী থানার দালালখ্যাত আবু ছিদ্দিক ওরফে মৌলভী ছিদ্দিককে স্ত্রীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবু ছিদ্দিক (৫০) ও তার স্ত্রী রিজুয়ানা বেগম (৪৫) কে গত শুক্রবার রাতে একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার (২জুলাই) রাতে থানার অদ‚রে উপজেলা সরকারি হাসপাতাল গেইটে ঘুরাঘুরির সময় তাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার স্ত্রীকেও উপজেলা সদরের উত্তর জলদি বণিক পাড়া সড়ক থেকে ওই রাতে গ্রেফতার করা হয়। দুইজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আবু ছিদ্দিক সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা গ্রামের মৃত গুরা মিয়ার পুত্র।
থানা পুলিশ ও গ্রামবাসী স‚ত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ তার চাকুরির দীর্ঘদিনের সঞ্চিত টাকায় বাঁশখালী উপজেলা সদরের উত্তর জলদি বণিক পাড়ায় ৭ শতক জমি কিনেন। ওইখানে ঘরও তৈরী করেন। ওই ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা গ্রামের আবু ছিদ্দিক ও তার স্ত্রী। বখাটে আবু ছিদ্দিক থানাসহ বিভিন্ন দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে দালালি করে আয় রোজগার করেন। সেকারণে এলাকায় থানার দালাল হিসেবে পরিচিত। ওই দালালির সুবাদে দীর্ঘদিন ভাড়া না দিয়ে উল্টো ঘরের মালিক হাবিব উল্লাহকে শাসিয়ে দেয় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিলে ঘর ছাড়বে নচেৎ নয়।
বিষয়টি স্থাানীয় সালিস বৈঠকে সুরাহা না হলে গত ১৩ মে হাবিব উল্লাহ বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পরও বাদিকে হুমকি ধমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করতে থাকেন। অবশেষে গত শুক্রবার স্ত্রীসহ গ্রেফতার হয়েছে। ওই মামলায় আরও দুইজন আসামী মোস্তাফিজুর রহমান তোহা ও তাকওয়া বেগম পলাতক রয়েছে।
বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হক জানান, আবু ছিদ্দিক ও তার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে নিয়মিত চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোর্পদ দেয়া হয়েছে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'রঅনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন