advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

৬ মেম্বার ও ইউপি সচিবকে সাক্ষী রেখে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক মেম্বারের মামলা

 ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অলিখিত স্টাম্প নেন চেয়ারম্যান ইবনে আমিন


জনপদ সংবাদদাতাঃ
  বাঁশখালীর কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে নিজ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া (৬৫) বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামের আদালতে ৩৮৬ দন্ড বিধিতে এ মামলা দায়ের করা হয়। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় আজ শনিবার।

মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে আরও ৬ জন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকেও। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি আমলে  নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

এর আগে কাথরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আইচ্ছ্যা মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম (৪৭) ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৯৮ ধারায় ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে বাঁশখালীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরীর আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেছিল বলে জানা যায়।

বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামের আদালতের পেশকার মো. সেলিম বলেন, কাথরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওই মামলায় বাদি অভিযোগ এনেছেন, চেয়ারম্যান ইবনে আমিন ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০০ টাকার অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবার পরও তাঁকে কোন ধরণের কাজ দিচ্ছেন না।

মামলার বাদি কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যও প্যানেল চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমি কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান ইবনে আমিন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবার পর থেকে যাকে-তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০০ টাকার অলিখিত স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। স্বাক্ষর না করলে মারধর, ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। গত বছরের ২৫ আগষ্ট ১০০ টাকার ৩টি স্টাম্পে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। এর পর থেকে নানাভাবে ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ থেকে আমাকে বঞ্চিত করছে, অর্থ লুটপাট করছে। অন্যান্য ইউপি সদস্যদেরও একইভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান জোরপূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার সময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পঙ্কজ দত্ত, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ২নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ারুল আজিম, ৩ন ওয়ার্ডের আবু তালেব, ৪নম্বর ওয়ার্ডের রফিক আহমদ, ৭নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ৮নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছৈয়দ আহমদ এবং ৯নম্বর ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন। সে কারণে উক্ত ইউপি সদস্যগণ ও সচিবকে মামলার সাক্ষী রেখেছি।’

এ ব্যাপারে মামলার ১নং সাক্ষী ইউপি সদস্য মো. ছৈয়দ আহমদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের নানামুখি অন্যায় ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থা প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। তা কিছু হয়নি এখনো।

কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে আমিন বলেন, ‘মামলা করার বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। এসব ছিল আমার বিরোদ্ধে ভূয়া মামলা। তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। আগামী রবিবার (১৫ জানুয়ারী) তারা মামলা তুলে নিবেন বলে আমার সাথে কথা হয়েছে। তবে আমি কারও কাছ থেকে অলিখিত স্ট্যাম্প নিইনি, স্বাক্ষরও নিইনি। সব কিছু ষড়যন্ত্র। এসব করে কেউ কিছু করতে পারবে না।’





বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com



কোন মন্তব্য নেই