বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সড়ক সংস্কারে বারবার ঠিকাদার লাপাত্তার রহস্য কী?

বাঁশখালী প্রধান সড়কের সাথে ঘেঁষে যাওয়া টাইম বাজার হয়ে পশ্চিমমুখী 'শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সংযোগ সড়ক'। সড়কটির কাজ কয়েকধাপে শুরু হলেও কাজ শেষ না করে বারবার অদৃশ্যকারণে কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। 

জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু'পাশ বর্ধিতকরণে সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। যাতে বরাদ্দ হয়, পৌনে ৪ কোটি টাকা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারীতে সড়কের কাজ শুরু করেন। দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। আবার আসেন। তৃতীয়ধাপে আবার কাজ শুরু করেন। কাজের একতৃতীয়াংশ শেষ না করে অদৃশ্য কারণে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পালিয়ে যায়। 

সর্বশেষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারীতে সড়কের কাজ শুরু করেন। এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার হওয়ার এক বছর পর সড়কের কাজ শুরু করলেও কাজের তৃতীয় ধাপে এসে সড়কের একতৃতীয়াংশ কাজই শেষ না করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়।

টাইমবাজার থেকে গন্ডামারা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করে মাঝপথে চলে যান। এই সড়কটি বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন ও গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ডামারার সাথে বাঁশখালী প্রধান সড়কের একমাত্র সংযোগ সড়ক হওয়ায় এতে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেও দীর্ঘ সড়কজুড়ে খানাখন্দ তলিয়ে যায় পানিতে। এতে স্বাভাবিকভাবে হাটাঁ-চলাফেরা করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার লোকজন কে।

সম্প্রতি ভারী বর্ষণে সড়কের খানাখন্দগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সড়ক দিয়ে চলাচল করা বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে এ সড়ক দিয়ে সরকারি বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, মনকিচর বড় মাদরাসাসহ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগে যাতায়ত করে। বৃষ্টির মৌসুমে অধিকাংশ শিক্ষার্থী সড়কের নাজেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে।

এছাড়া এটি গন্ডামারা এস আলম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দীর্ঘ কয়েক বছরেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জনমনে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ লোকজনের হাঁটা চলার অযোগ্য সড়কটি। তার ওপর বড় বড় গর্ত। গর্ত জুড়ে হাঁটু পরিমাণ পানি। এসবের মধ্যে দিয়ে যানবাহন নিয়ে অতিকষ্টে যাতায়ত করা হয়। এতে গাড়ীর নানা যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনায়ও।

এলাকাবাসী এ সড়কটি নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে প্রতিনিয়তই  সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শেষ করার অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। আশা করি এর একটা বিহীত হবে। কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়টা মাথায় নিয়ে এই সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করুক এ প্রত্যাশা রাখছি। 



লেখক: তৌহিদ-উল বারী 

বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।






বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.