|
গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত মাষ্টার আজিজুল হক (৪৫) ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ্ মো. মাহিদ (১৬)। |
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বলে মেজ ভাইয়ের স্ত্রীর করা ভূমি আইনের মামলায় সাক্ষিতে নাম থাকায় এক শিক্ষক ও তার মাদরাসায় পড়ুয়া ছেলের উপর হত্যার উদ্দ্যেশ্যে অতর্কিত হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত হামলাকারীরা হলেন চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল চরতিয়া পাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের মছন আলীর পুত্র জোস মোহাম্মদ (২৮), দিদারুল ইসলাম (২৫), রিদুয়ানুল ইসলাম (২০), নুর মোহাম্মদ (৩৫) ও মৃত হাছন আলীর পুত্র মো. ফোরকান (৪০), রবিউল আলম (২৮), আব্দুর রহমান (৩৪)।
এ ঘটনায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত একই এলাকার মাষ্টার আজিজুল হক (৪৫) ও নবম শ্রেণিতে মাদরাসায় পড়ুয়া তার ছেলে আব্দুল্লাহ্ মো. মাহিদ (১৬) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চাম্বল সিকদার দোকানের আজিজ সাও এর চায়ের দোকানে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মাষ্টার আজিজুল হক।
এ বিষয়ে আহত মাষ্টার আজিজুল হক বলেন, 'শুক্রবার রাতে পূর্ব থেকে উঁৎপেতে থাকা ওই সন্ত্রাসীরা আমাকে সিএনজি থেকে নামতে দেখে দৌঁড়ালে আমি স্থানীয় এক চায়ের দোকানে ডুকে পড়ি। সংঘবদ্ধ ও সন্ত্রাসীরা দোকানের কাচের গ্লাস ভেঙ্গে আমার বাম চোখে ডুকিয়ে দেয়। লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আমাকে শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখক করে। অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক প্রেরণ করে। আমার চোখের উপর-নিচে ২৫টি ছেলায়ই হয়েছে। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধিন আছি। আমার ছেলের মাথায় ৬টি ছেলাই হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, 'রাতে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'
উল্লেখ্য, আহত মাষ্টার আজিজুল হকের মেজ ভাইয়ের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ভূমি আইনে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় আজিজুল হক ও তার ছেলে সাক্ষি থাকায় বহুবার তাকে মেরে ফেলার হুমকী-ধমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় আজিজুল হক থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশি তদন্তে নন জিআর মামলা হয় আসামীদের বিরুদ্ধে। এর পর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার আগের দিন রাতে অভিযুক্ত আসামীরা তার বাড়িতে গিয়ে ইট-পাটকেল মেরে তাকে বের হতে বলে। ওইদিন সকাল থেকে তারা তাকে পাহারা দেয়। ঘটনার দিন জুম'আর নামায শেষে বাড়িতে ফিরলে তাকে গুরুতর জখম করে ও তার ছেলেকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এর পর তারা রাতে আবার সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'রঅনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।
banshkhalijanaphad24@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন