না_রী_দে_র_প্র_তি_আ_হ্_বা_ন
পশ্চিমাদের আহ্ববান: কে তোমায় পড়িয়েছে পর্দার এই শৃঙ্খল? তোমার কি অধিকার নেই নিজের মনের বাসনাগুলো পূর্ণ করার, নিজেকে মুক্ত কর এ পর্দার শৃঙ্খল থেকে, এসো আমার কাছে আমি তোমায় পথ দেখাব। তোমরা কি দেখনা তসলিমা নাসরিনদের? দেখোনা জাহানার ইমামদের প্রগতিশীলতা! কি তাজিব এখনো তোমরা ঘর মুখা কেন? আধুনিকতা কি তোমরা বুজনা? কেনো তুমি গৃহবন্দি? তোমার তো এখন পার্কে, টিয়েটারে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ানোর সময়। তোমার স্বাধিনতা কেন বন্ধি শিকলে? তোমার কি জিবনকে উপভোগ করতে মন চায়না? এসো জিবনের স্বাদ নিতে! এসো নয়নে বদনে ভালোবাসার পরশ পেতে। দেখো দেখো তাদের দিকে। কি উদ্যোম, কি সাহস, কি ছুটে চলার নেশা! তোমার ঘুমন্ত মনকে জাগ্রত করো! দেখছোনা জোছনার রাতে হোটেলে - মোটলে কি আড্ডায় জিবনকে উপভোগ করছে? তোমার কি মন চায়না একটু বিনোদন নিতে? এসো, হে এসো আমাদের মতো হারিয়ে যাই!
অতঃপর: যেখানে প্রতিদিন সূর্য ডোবার মতো করে একটু একটু করে ডুবছে মানুষের মনুষ্যত্ব, যেখানে আমার বোনদের কাঁধে ঝুলছে পুরুষের চাপিয়ে দেয়া জোয়াল, এক নারী অগুনিত পুরুষকে পেতে দিচ্ছে তার দেহ স্বেচ্ছায়। জোর করে একটি মেয়েকে একাধিক ছেলে ভোগ করলে তা হয় ধর্ষণ, আর স্বেচ্ছায় নিজের দেহটাকে হাজার পুরুষের ভালবাসার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বিকিয়ে দিলে তা হয় নারী মুক্তি! প্রথমটি আইনের চোখে অপরাধ,পরেরটি নয়, আর এ কারনেই ওরা তোমায় সস্তায় ভোগ করার জন্য পেতেছে নতুন ফন্দি। ওদের ইচ্ছা তুমি পুরন করলে ওরা তোমায় ত্যাগ করবে, তুমি প্রশ্ন করলে বলবে- "নাহ! তোমার আমার ঠিক হচ্ছে না আর " ওরা তোমায় যুক্তি দেখাবে, ওরা দাবি করে ওরাই নাকি যুক্তিবিদ্যার বাপ দাদা। সকাল বিকাল ওরা ভাত না খেয়ে যুক্তি খায় পানিতে গুলিয়ে, যুক্তি দেখিয়ে ওরা তোমায় ভোগ করবে আবার যুক্তি দেখিয়ে ওরা বলবে তোমায় অন্য কাউকে খুজে নিতে। তারপর ওরা খুঁজবে ওদের পরবর্তী শিকার। ইহকালে অবিশ্বাসীরা এইভাবে জীবনটাকে উপভোগ করতে চায়। এরা বলে, একটাই তো জীবন, ভোগ না করলে কি হয়? অবুঝ তুমি, বুঝলে না ওরা শুধু তোমার শরীরটাকেই পর্দা থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল, তোমার চিন্তাকে নয়। ওরা বলল আর তুমি করলে। ভাবলে না পরিনতির কথা। ওরা তোমাকে ভোগের দাসি বানাল। এইভাবে সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে। আমার বোন হাজারো নষ্টের বিছানাসঙ্গিনী হবে। তসলিমা নাসরিন, আর হুমায়ুন আজাদের মতো নারী মুক্তির বই লিখবে তোমায় বিভ্রান্ত করার জন্য। আর তুমিই হবে শেষবধি নির্যাতিত থেকে নির্বাসিত।
ফরিয়াদ: হে নারী, একটু সতর্ক হও। একটু আনন্দের জন্য পরকালকে বরবাদ করে দিওনা। যখন আধুনিকতাকে ট্যাবলেট হিসাবে গিলে খাবে, নিজেদের সংস্কৃতিকে বিকিয়ে দিয়ে পশ্চিমাদেরকে অনুসরণ করবে, ভারতীয়-ইউরোপীয় কালচারকে যখন স্বাগত জানাবে, নারী নীতিকে যখন স্বাধুবাদ জানাবে -বুজতে হবে তুমি খোসাবিহীন কলা। মাছি, মশা, পিঁপড়া তোমাকে হানা দিবে। সাবধান! সাবধান!! সাবধান!!!ইসলাম যা দিয়েছে, তা দেওয়ার ক্ষমতা কারো নাই। জানো, তুমি কোথায় ছিলে? কোথায় তোমাকে আনা হলো? জাহেলিয়াতে তোমার অবস্থান ছিলো ভোগের বস্তু হিসেবে, ফেলনার বস্তু মনে করা হতো তোমাদেরকে। এখন তুমি যখন সভ্য হয়েছো তখন তারা তোমাকে আবার ডাকে প্রগতির স্লোগানে। আসলে আবার ফিরিয়ে নিচ্ছে তোমাকে ঐ অন্ধকার জগতে! তবে এর এক চুলও নাড়াচাড়া করিওনা নতুবা ধ্বংস নিশ্চিত।তোমাদের কি হয়েছে? কেন বা হযরত ফাতেমা(রাজিঃ), হযরত আয়েশা(রাজিঃ), হযরত রাবেয়া বসরি(রাঃ) তোমাদের চরিত্রের সংযুক্তি হয়না? কেনো তুমি শান্তি খুজো ভ্রান্তির চলনে। যখন তোমাকে তারা ভালোবাসার দোহায় দিয়ে ভ্যালেন্টাইনে আহ্বান করবে তখন তাদের জবাব দাও- ভ্যালেন্টাইন আমাদের প্রতিদিনই হয়। মা-বাবা, ভাই-বোন, পিতা-পুত্র, মাতা-কন্যা, স্বামী- স্ত্রী তে প্রতিদিন সকাল শুরু হতে রাত্রবধি ভ্যালেন্টাইন হয়। তো কেনো একদিন ভ্যালেন্টাইনে আপনাদের এতো আহ্বান? এটা বাংলাদেশে না করে পশ্চিমাদের দিয়ে উদযাপন করুন। তারা সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে সবসময় প্রস্তুত। স্যরি আমাকে দিয়ে ভ্যালেন্টাইন হবেনা। বলুন- আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, আছে অটুট ভালোবাসার বন্ধন। আমরা সতীত্বের গুরুত্ব বুঝি।
লেখক- শিব্বির আহমদ রানা
shibbirahmed90@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন