বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

বাঁশখালীতে বন্যহাতির আক্রমনে ৮ বসতঘর ভাংচুর

ক্যাপশন: বন্যহাতির আক্রমনে বিধ্বস্ত বসতঘর- বাঁশখালী।

বাঁশখালীতে বন্যহাতির আক্রমনে ৮ বসতঘর ভাংচুর

 বাঁশখালী জনপদ ডেস্ক: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাও এলাকার দমদমা দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বে বন্য হাতির আক্রমনে ৮টি বসতঘর তছনছ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ভোর রাতে ২টি হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে ৮ বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। এতে হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থানীয় মুন্সী মিয়ার পুত্র মো. আমিন, সিরাজ মিয়ার পুত্র নেজামুর রহমান, দানু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ হোসেন, মুন্সিমিয়ার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, নাগু মিয়ার পুত্র রফিক আহমদ, মুন্সী মিয়ার পুত্র জাকের আহমদ, আব্দুল খালেকের পুত্র আনোয়ার ইসলাম, মুন্সী মিয়ার পুত্র আমির হোসেন সহ ৮ পরিবারের ঘর বাড়ি ভাংচুর করে ফেলা হয়েছে। এতে করে সারা রাত জুড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা যায়, বাঁশখালী- সাতকানিয়া পাহাড় থেকে প্রতিনিয়ত কয়েকটি বন্য হাতি রাতের আঁধারে গ্রামেগঞ্জে ঢুকে পড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই হাতিগুলো উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাধনপুর মৌলভী ঘোনা, পূর্ব বৈলগাও, বানীগ্রাম ও বৈলছড়ীর পূর্ব চেচুরিয়া, পুকুরিয়ার অধিকাংশ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে খাবারের খোঁজ করে।

সম্প্রতি হাতিগুলো বসতঘর, ফসলি জমি, ক্ষেত-খামার, বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্রতিদিন ক্ষয়ক্ষতি করছে। বাঁশখালী সাধনপুর এলাকার সাইমুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিদিন হাতির আক্রমণের ভয়ে ঘুমাতে পারিনা। সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, প্রতিনিয়ত হাতিগুলো গ্রামের ক্ষতি করছে।

হাতির আক্রমণে ৮ বাড়ি ঘরের লোকজনকে পরিষদের পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। এদিকে নবনিযুক্ত বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ক্ষতিগ্রস্তদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

-শিব্বির আহমদ রানা

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.