![]() |
বাঁশখালী জনপদ ডেস্ক: কোরবানের ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ও পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে কর্ণফুলী ৩য় সেতুর উভয়পাশে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। রোববার (১৯ অগাস্ট) বাঁশখালীর সর্ববৃহৎ সংগঠন বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের লিখিত অভিযোগ ও মতবিনিময়ে তিনি এ আশ্বাস দেন।
ন্যায্য ভাড়ায় বাড়ি ফিরতে চেয়ে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে নতুন ব্রিজ থেকে বাঁশখালীর পথে ভাড়া নৈরাজ্যের কাছে জিম্মি দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় বাঁশখালীতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলোকে। একটি কুচক্রী মহল সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গাড়ির কৃত্রিম সংকট তৈরি, চার থেকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া আদায়, অন্যকোনো গাড়ি সার্ভিসকে বাঁশখালীর যাত্রী নিতে না দেয়া, যাত্রী হয়রানিসহ মারধরের ঘটনাও ঘটে প্রতিনিয়ত। এ ঘটনা নিয়ে মানববন্ধন, বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি দেয়ার পরও কোনো ধরণের কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায় নি। তাতে ছাত্রসমাজ বরাবরই আশাহত হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করে আরও বলা হয়, দু’দিন পর ঈদ, আর এ সময়ে বাড়ি ফিরছে লাখ লাখ মানুষ। তাদের কাছ থেকে পাঁচগুণ ভাড়া আদায়সহ হয়রানি করছে পরিবহন সিন্ডিকেট। অন্তত এই ঈদে আমাদের ন্যায্য ভাড়ায় ও নিরাপদে বাড়ি ফেরার সুযোগ করে দিন। ছাত্র সমাজ আপনাকে আজীবন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।
এছাড়াও জিম্মিদশা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ৫টি দাবি জানানো হয়। তা হল, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় বাড়ি ফিরতে চাই, শুধু বৈধ লাইসেন্সধারী চালকরা যাতে গাড়ি চালাতে পারে, সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে, ছাত্রদের (আইডি কার্ডধারী) জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ওই সড়কে চলমান সানলাইন সার্ভিসে পেকুয়া-চকরিয়ার মত বাঁশখালীর যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এছাড়াও কার-মাইক্রোবাস সার্ভিস উন্মুক্ত করতে হবে। কেননা একক আধিপত্য বন্ধ করতে না পারলে দীর্ঘদিনের এ সমস্যা কখনো বন্ধ করা সম্ভব না।
এ বিষয়ে বাঁশখালী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন পরিবহন চক্রটি। এটি আজকের সমস্যা নয়, দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ। সে বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের আশ্বাস্ত করেছে ঈদের আগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। এছাড়াও তিনি পরিবহন চক্রটির সাথে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন। আশা করছি ওনি ওনার কথা রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের কাছে স্মরণীয় জেলা প্রশাসক হয়ে থাকবেন।
সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা আশা করছি ছাত্র সমাজের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির সমাধান মেলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন