আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু!
বাঁশখালীতে কলেজ ছাত্রীর রহস্য জনক মৃত্যু![]() |
নিহতের মা নুরুন নাহার বেগম বলেন, ওমান প্রবাসী ওবাইদুল হক বিগত তিন মাস পূর্বে বিবাহের পর থেকে স্ত্রী কে নিয়ে আমার বাড়িতেই থাকতেন। আমি নিজেও ডাইবেটিস রোগী। আমার বাড়িতে শুধু আমরা তিন জনই ছিলাম। শনিবার (১৮ আগষ্ট) ভোর রাত ১ টার দিকে আমার অসুস্থতা লাগলে আমি মেয়েকে ডাকি। তখন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই দুইজনই আমার কাছে আসে। তখন তারা দুই জনই এসে আমাকে পানি খাওয়ান।মেয়ের জামাই আমার পাশে বসা অবস্থায় মেয়ে বাথরুমে যায়। বেশ কিছুক্ষন যাবৎ বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় আমি তাকে ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় আমি এবং তার স্বামী দুইজনই গিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎষক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে আমরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তৌহিদুল আনেয়ার বলেন, গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা আমেনা বেগমের গলায় এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন থাকায় আমরা পুলিশে খবর দিই।পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
এদিকে মৃত্যু বরণকারী কলেজ ছাত্রীর পোষ্ট মর্টেম ছাড়া লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকার কয়েকশ লোক থানায় জড়ো হয় এবং পুলিশ যে এ্যামবুলেন্স করে তার লাশ চমেকে প্রেরন করেছে তাতেও বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে লাশ পোষ্ট মর্টেমের জন্য প্রেরন করে।
এ দিকে বাঁশখালী থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান,আমেনা বেগমের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশের পক্ষ থেকে লাশ পোষ্ট মর্টেমের ব্যবস্থা করা হয়। অথচ অযৌক্তিক ভাবে এলাকাবাসী ও কতিপয় কিছু কলেজ ছাত্র-ছাত্রী এসে লাশ পোষ্ট মর্টেমে নিয়ে যেতে বাঁধা প্রধান করে।
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালীজনপদ২৪ডটকম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন