advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

টুপির আবডালেও বিভক্ত মুসলিম ওম্মাহ!

টুপির আবডালেও বিভক্ত মুসলিম ওম্মাহ!

মুসলমানদের নানা ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে কিছু সুবিধাধার মোল্লারাই! এরাই ভিন্ন ভিন্ন কিসিমের টুপি বানিয়েছে! দরগা বানিয়েছে, দরবার বানিয়েছে, খানকা বানিয়েছে,চিল্লা শরীফ বানিয়েছে, মাজারের উপশাখা বানিয়েছে, সিরাতুন্নবী(ﷺ) মিলাদুন্নবী (ﷺ) গুলিয়ে ফেলে চমৎকার একটি উৎসব বানিয়েছে। মোল্লারা আসলেই কিউট। 

একটা দরবার আছে তারা শুধু উৎকট হলুদ কালারের টুপি পড়ে! আরেকটা দরবার বানিয়েছে চান টুপি, চরমোনাই বানিয়েছে একধরণের টুপি, বায়তুশ শরপের একটা টুপি আছে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের টুপি সাধ্যমতো হাইট রাখে, মাদানী টিভির সব গুলা মোল্লা মৌলভী আবার চমৎকার সবুজ পাগড়ী পড়ে, মাইজভান্ডারি ঘরানার রা লম্বা টাইপের একটা পাতলা টুপি পড়ে, কলরব শিল্পীরা চমৎকার কিছু শুভ্র পাগড়ি পড়ে- টুপির আকার প্রকার নিয়েও আর্টিকেল হতে পারে। 

স্কুল লাইফে একবার চমৎকার একটা টুপি নিয়েছিলাম ১৫ টাকা দিয়ে৷ বেতের টুপি। গ্রামের মানুষ ধরে ধরে দেখে। 'তুই ভাসানী টুপি কই পাইসোৎ'! - তাহলে এটা ভাসানী টুপি!

আরেকটা টুপি আছে জিন্নাহ টুপি! মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এই টুপি পড়তেন। আফগানীরা একধরণে টুপি পড়েন। টুপি আলাদা হওয়া সমস্যা না। সমস্যা টা তখনই যখন একেক টুপি অলা একেক নিয়ম কানুনে ইসলাম এড্রেস করতে থাকে, কাঁদা ছুড়তে থাকে- অন্য দলকে কাফির তকমা লাগায়! একেমন মুসলমান আমরা!

ইসলাম মাজার ভিত্তিক নয়- মসজিদ কেন্দ্রিক। বাংলাদেশ ভারত পাকিস্থান ইরাক ইরানে মাজার কেন্দ্রিক ব্যাবসায়িক কালচার ইসলামের কোন সাথে কোন সম্পর্ক নেই। কিঞ্চিৎ পরিমাণ ও রিলেশানও নেই। মাজার সংস্কৃতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, কোন ওয়েস্টার্ন কালচারে বা ইন্ডিয়ান কালচারের মুসলমানদের কোন কারণে ম্যানশান করতে হলে তারা 'কিছু মানুষ মাজারে যাচ্ছে, মাজারে শিয়াদের মত গোলাপজল ছিটাচ্ছে, শালু ছড়াচ্ছে এসব দেখায়!' এটা মানে ইসলাম!

টুপি আপনার যা ইচ্ছে পড়ুনগে। কিন্তু টুপি টা যখন একটা নির্দিষ্ট ঘরানার পরিচয় বহণ করে যাবে, সেটা মুসলিম উম্মাহর পরিচয়ের  উর্ধ্বে চলে যাবে সেটা নিশ্চিত ভাবেই ফিতনা' সৃষ্টি করবে। 

রাসুল্লাহর (ﷺ) 'আল লেভাসুত তাকওয়ার' মানে জোব্বা পড়ে থাকা যেমন নয়, তেমনি একটি আমলকে নিজের দর্শনে মজ্জাগত করে ফেলাও নিশ্চয় নয়।

টুপি মুসলিম উম্মাহর সহজ নিদর্শন।  কিন্তু এটাকে আমরা বানিয়ে ফেলেছি দলীয় পোস্টারে। অমুক টুপি অলারা অমুক রকম মুসলমান! - এরকম বিভাজন করার অনুমতি আপনাকে কে দিয়েছে? 

ওয়ান উম্মাহ-মুসলিম দর্শনটা বাস্তবায়ন কঠিন-অসম্ভবও বটে। তাই বলে এত বিভাজন এতে আঞ্জাম দেয়া হয়েছে নওমুসলিম, তরুণ মুসলিম সন্তানেরা কনফিশানে আছে যে 'হোয়াট ইজ এক্সুয়াল?' এটা কারা করেছে? 'মোল্লারা'ই করেছে। 'সিরাতুল মোস্তাকিম' খুঁজে পাবার পথ এই এরাই কঠিনতর করে ফেলেছে ।  এদের অবস্থা এমন নেশা দ্রব্য পান সুপারি জর্দা তবক'কে জায়েজ করে ফেলেছে। ফতোয়াটা এমন, 'বেশির ভাগ মোল্লারা পান খায়, সুতরাং পান বেহেস্তের ফল'!! 
বিভাজন নয়-
এক হও মুসলিম  এক হও আজ
এক হওয়া ঈমানের মূল কারুকাজ 


লেখক-
কাজী শাহরিয়ার
সম্পাদক: প্রিয় বাঁশখালী 

কোন মন্তব্য নেই