বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

বাঁশখালী পৌরসভার অভ্যন্তরিণ সড়কের বেহাল অবস্থা, জনদূর্ভোগ চরমে!

পৌরসভার অভ্যন্তরিণ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কের বেহাল অবস্থার ছবি।
শিব্বির আহমদ রানাঃ দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপকুলীয় অঞ্চল হিসেবে খ্যাত বাঁশখালী উপজেলা সদর ৮নং জলদী ইউনিয়ন পরিষদকে ২০০২ সালের ২২ ডিসেম্বর পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে ৩টি মৌজা উত্তর জলদী, দক্ষিন জলদী এবং জঙ্গল জলদী এলাকা হিসেবে নির্ধারন করা হয়। এ পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এটি এ'গ্রেডের পৌরসভায় উন্নিত হয়। ২৮.৪২ বর্গ কিঃমিঃ আয়তনের এ পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। পৌরসভা সৃষ্টির পর হতে অাজবধি উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি পৌরবাসি। এ'গ্রেডের পৌরসভা হিসেবে যে উন্নয়ন চিত্র দেখার কথা তা পরিলক্ষিত হয়নি এমন অভিযোগ পৌরবাসির।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার গ্রামিণ সড়ক গুলো এখনো মান্ধাতার আমলের। বেশ কয়েকটি সড়কের ইটগুলো বিলীন হয়ে বড় বড় খানাখন্দে ভরে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পৌরবাসি এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি চেয়ে নানা আবেদন করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেনা বলে জানান। বিশেষ করে প্রধাননসড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ জলদী ডাক বাংলো সড়ক, জলদী আস্করিয়া সড়ক, বড়ুয়া পাড়া সড়ক, হারুন বাজার সড়ক, নোয়াপাড়া সড়ক, মনকিপাড়া সড়ক, জমসেদ মুন্সি সড়ক, পূর্ব মিয়াবাড়ী সড়ক, কেবল মহাজন পাড়া সড়ক, মাছবাজার লোহাগাড়া সড়কগুলোর বেহাল অবস্থায় জনজীবন হুমকীর সম্মুখীন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে ৪ অক্টোবর থেকে। পূজা উপলক্ষে তাদের আত্মীয়স্বজনের সমাগম হবে পুরো পূজোর সময় ধরে। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজার আনন্দঘন পরিবেশটা উপভোগের জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে ভীড় ঝমবে দূরের আত্মীয়স্বজনসহ উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাগমে। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থায় তাদের যাতায়তে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ার অশংকা করছে স্থানীয়রা। সড়কগুলো সংস্কার না হলে পূজা চলাকালীন পূজামণ্ডপে যেতে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে জানান এলাকাবাসী।

পৌর কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ প্রতিবেদকে জানান, 'বাঁশখালী থানার সবচেয়ে বৃহত্তম পূজামন্ডপ গুলো আমার ৮নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়। ৬,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংযোগ তিনটি সড়ক- শ্রী রাম মহাজন পাড়া সড়ক, অদ্বৈতানন্দ্ব সড়ক, ফরেস্ট রোডগুলোর অবস্থা এতো খারাফ যে, পূজার সময় আমাদের কষ্টের সীমা থাকবেনা। অবহেলিত সড়কগুলোর সংস্কারের জন্য আমি গত ৩৭তম মাসিক সভায় মেয়র মহোদয় কে বারবার বলেছি সড়কগুলো রিফায়ারিং করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেনি। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাসিক সভায় বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে পূজার আগে যেন সড়কে লাইটিং স্থাপন ও রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য। কিন্তু তিনি এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি।'

এদিকে দক্ষিণ জলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮শত ৫০জন শিক্ষার্থীর চলাচলের রাস্তাগুলো খুবই নাজুক অবস্থায় থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়ে। ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংযোগ গ্রামীণ সড়কে সড়কবাতি পুনঃস্থাপন করার দাবী জানান স্থানীয়রা। এভাবে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভ্যন্তরিণ সড়কের বেহাল অবস্থা। নানা সংশয় নিয়ে সড়ক সংযোগ সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে স্থানীয়রা। 

৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় দক্ষিণ জলদী রঙ্গিয়াঘোনা পশ্চিম সড়ক, দক্ষিণ জলদী বড়ুয়া পাড়া-হিন্দুপাড়া মধ্যম সড়ক, দোসারি পাড়া মসজিদ সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। সড়ক সংস্কারের জন্য মেয়রকে বারবার অবহিত করলেও কোন বরাদ্দ দেয়নি তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে পৌরমেয়র শেখ সেলিমুলক চৌধুরীকে বার বার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.