জনপদ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কিংবদন্তি তৎকালীন বাঁশখালী আওয়ামীলীগের জননন্দিত অবিসংবাদিত নেতা, বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের নন্দিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এডভোকেট সুলতান-উল কবির চৌধুরী।
আজ ১লা রমাদান, ২৫ এপ্রিল, ২০২০ খ্রিঃ, তাঁর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিক।
বিগত ২০১৪ সালের এই দিনে পবিত্র রমজান মাসে চিরবিদায় নিয়েছিলেন ৬০ দশকের কিংবদন্তি এই ছাত্রনেতা। খুব ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজে গড়ে তুলেছেন নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। এসএসসি পরিক্ষায় পাশ করার পর ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সিটি কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদে তিনি প্রথমে জি.এস ও পরে ভি.পি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে এই কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি জি.এস ও ১৯৬৯ ভি.পি নির্বাচিত হয়ে সাহসীকতার সাথে নেতৃত্ব দেন ক্যাম্পাসে। তখন থেকেই সময়ের এই সাহসী সন্তান নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করেননি কখনো।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন সুলতান-উল কবির চৌধুরী। ঐতিহাসিক ৬৯'র ছাত্র-গণআন্দোলনে চট্টগ্রামের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুলতান-উল কবীর চৌধুরী ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। ৭০'র নির্বাচন এবং ’৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এই অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা ছিল অনন্য। দীর্ঘ সংগ্রামের পর, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলো বাংলার খোকাখ্যাত হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। এর পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর কালো রাতে ’৭১ এর পরাজিত শত্রুরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। আবারো শুরু হলো আন্দোলন সংগ্রাম। সেই আন্দোলনে ১৯৭৬ সালে গ্রেফতার হন বাঁশখালীর কিংবদন্তি সুলতান-উল কবির চৌধুরী। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ এর ১১ আগস্ট বাঁশখালীর কৃতি সন্তান, চট্টগ্রাম যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দ আহমদকে হত্যা করার পর বাঁশখালীসহ সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামে ছাত্রসমাজ ও যুবসমাজ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। ঠিক সে সময়ে সুলতান উল-কবির চৌধুরী সংগঠনকে শক্তিশালী করতে অনন্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। দীর্ঘ নয় বৎসর সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাঁশখালী থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৯১ সালে পুনরায় মনোনয়ন লাভ করে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একজন সৎ ও যোগ্য লোক হিসেবে বাঁশখালীর সাধারণ মানুষেরর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আজ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় পারিবারিকভাবে দোয়া ও মুনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'র অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।
আপনার মেইল পাঠাতে:
banshkhalijanaphad24@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন