নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২টি মৎস্য প্রজেক্টে বিষ ঢেলে দিয়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাইরাং এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য প্রজেক্ট ২টির মালিক মো. রাসেল উল্লাহ বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরল ইউনিয়নের পাইরাং এলাকার নজির আহমদের পুত্র মো. রাসেল উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে প্রজেক্টে মাছ চাষ করে আসছিল। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কতিপয় দুর্বৃত্তের দল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার ২টি প্রজেক্টে বিষ ঢেলে দেয়। পরদিন শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় লোকজন প্রজেক্টে মরা মাছ ভাসতে দেখে প্রজেক্ট মালিক মো. রাসেল উল্লাহকে ফোন করে খবর দেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সে প্রজেক্টে এসে দেখে তার ২টি প্রজেক্টের সম্পূর্ণ মাছ মরে গিয়ে পানিতে ভাসতে থাকে। প্রায় ২ বছর পূর্বে চাষকৃত কাতাল, রুই, পাঙ্গাস, নাইলোটিকা, ঘাস কাপ সহ মাছ গুলোর একেকটি প্রায় ২-৩ কেজি ওজনের হবে। দুর্বৃত্তরা ২টি প্রজেক্টে বিষ ঢেলে দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নষ্ট করে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ যেন মাছের সাথে শত্রুতা! এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ফোমিটক্স নামক ৩টি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। ওই বিষ দ্বারা মাছ গুলো মেরে ফেলেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য প্রজেক্ট মালিক মো. রাসেল উল্লাহ বলেন, ‘স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তের দল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার প্রজেক্ট ২টিতে বিষ ঢেলে দিয়ে সম্পূর্ণ মাছ মেরে ফেলেছে। ৩০ থেকে ৩৫ মণ মাছ নষ্ট করে আমার প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। আমার সাথে শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু মাছের সাথে কি শত্রুতা ছিল তাদের। এতগুলো মাছ কেন নষ্ট করল তারা। আমি প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘পাইরাং এলাকায় প্রজেক্টে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ মেরে ফেলার ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত পূর্বক এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন