advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

বাঁশখালী উপজেলার চাঁদপুর ১৪নং মাঠকে মিনি স্টেডিয়াম করা হোক


বাঁশখালী উপজেলায় ফুটবল ও ক্রীকেট খেলার জন্য মান সম্মত কোন স্টেডিয়াম নেই। ক্রীড়া ক্ষেত্রে বা়ঁশখালী যথেষ্ট সম্ভাবনার উপজেলা। এখানে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। থানা সদরে জলদী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে একটি মাঠ আছে। মাঠটি বর্ষাকালে খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজে একটি মাঠ আছে সেখানে বাঁশখালী ক্রীকেট একাডেমি ক্রীকেট চর্চা করে। পাহাড়ের উপরে বড় আকৃতির এ মাঠটি পর্যাপ্ত পরিচর্যার অভাবে ক্রীড়া চর্চায় যথেষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় খেলোয়াড়দের। তাছাড়া বাঁশখালীর কোন স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় আন্তর্জাতিক মানের মানসম্মত কোন খেলার মাঠ নেই । সমগ্র উপজেলার খেলাধুলার উন্নয়ন সম্ভব করে তুলতে একটি খেলার মাঠ তথা স্টেডিয়াম বাঁশখালীতে খুবই প্রয়োজন। 

বাঁশখালীর ১নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বগান তথা কুণ্ডুর স্টেইটের অন্তর্গত একটি বড় আকারের মাঠ আছে। যাতে নাটমূড়া পুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়, চাঁদপুর সিনিয়র মাদরাসাসহ পুকুরিয়া, সাধনপুর  ইউনিয়নের কিশোর, যুবক ও স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পঞ্চাশ বছরেরও অধিক সময় থেকে ক্রীড়া চর্চা করে আসছে। এটি একটি বিশাল খেলার মাঠ, যা ১৪ নং মাঠ হিসেবে পরিচিত। মাঠটির আন্তর্জাতিক মাঠ ও স্টেডিয়াম হবার যোগ্যতা আছে। 

মাঠের ইতিহাসঃ ১৯১২ সালে বৃটিস সরকারের অধিনে ভারতের কুণ্ডু কোম্পানি বা়ঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের অধিনে চাঁদপুর গ্রামে সাথে লাগোয়া লটচাঁদপুর,লটহল,লটমণির বিশাল এলাকায় চা-বাগান গড়ে তোলে। বাগানটির নাম "চাঁদপুর-বেলগাঁও চা-বাগান"। মূলত "চাঁদপুর" চা-বাগানের নাম, আর বেলগাঁও তার "ডাকঘর"। পুকুরিয়ার চন্দ্রপুর, চাদঁপুর ও নাটমূড়া এই তিন গ্রামের ডাকঘর হলো বেলগাঁও, যা এখনো বর্তমান আছে। চাঁদপুর চা বাগানের দুটি কারখানা ছিল। একটি লটচাঁদপুরে অন্যটি লটহলে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের কয় বছর পূর্বে লটচাঁদপুরে চা বাগানের কারখানাটি নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়।  লটহলের কারখানাটি তখনো বর্তমান ছিল। চাঁদপুরের কারখানাটি বন্ধ হবার পাশা পাশি তার আশপাশের চা--বাগানও পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। পরে বাঁশখালী মূলসড়ক হতে অর্ধ কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের সমান জায়গায় একটি বিশাল এলাকা জুড়ে যে চা-বাগানটি ছিল তার বাগান নং ছিল ১৪নং বাগান। ধীরে ধীরে ১৪নং চা-বাগান ১৪নং খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত পায়। ৬০/৭০ বছর ধরে এ মাঠে খেলছে এলাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কিশোর, যুবক,  শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে ১৪নং খেলার মাঠ অবৈধ দখলদারদের দ্বারা দখলের কবলে পড়ে ছোট হয়ে এসেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক মাঠটি গেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ১৪নং মাঠে ফুটবল ও ক্রীকেট টুর্নামেন্ট হয়। দূরদূরান্ত হতে বিভিন্ন খেলোয়াড় টিম এখানে খেলতে আসে। মাঠটি যেমন সমান তেমনি সব ঋতুতে খেলার উপযোগী থাকে। এখানে এলাকার যুবসমাজ মাঠের উন্নয়নে আগ্রহী। তারা মাঠ রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় উপজেলা নিরবাহীদের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছে।

বি এস জরিপে কুণ্ডুদের চা-বাগানের তিনটি লটই সরকারি ১নং খতিয়ান ভুক্ত হয়ে যায়। এই ১৪নং মাঠের সরকারি জায়গায় একটি স্টেডিয়াম তৈরির দাবী এলাকায় জোরদার হচ্ছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ইচ্ছে করলে এখানে সমগ্র বাঁশখালী উপজেলার ক্রীড়ার উন্নয়নে একটি মানসম্মত ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্ভব।

-কবি ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক কমরুদ্দিন আহমদ। 




বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই