বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

রাষ্ট্র সংস্কারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ছাত্র-জনতার সম্পর্ক সুগম হওয়া চাই!

কটি রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন আর সংস্কারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ছাত্র-জনতার সুসম্পর্কের দরকার আছে। আর এ সম্পর্কের মধ্যদিয়ে একটি রাষ্ট্র সংস্কার থেকে শুরু করে দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুব একটা সহজ হয়।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট আর পূর্বের প্রেক্ষাপটে বেশ ভিন্নতা রয়েছে। তখনকার একটা অবস্থা আর বর্তমান অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে জনতার একটা দুরত্ব ছিলো যা আমরা দেখে এসেছি। সাধারণ জনগণ প্রশাসন থেকে একটা দুরত্ব বজায় রেখে থাকার চেষ্টাও আমরা কমবেশি চোখে পড়তে দেখেছি। কেনই বা ছিলো এ দুরত্ব? এ প্রশ্নের উত্তর আবার আমাদের কাছেও মোটামুটি অজানা নয়। আবার প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও একটা নির্দিষ্ট আদেশ তারা তাদের কর্মস্থলে চাপে ছিলো এটা বললে তেমন একটা ভুল হবেনা। অনেকক্ষেত্রে তারা স্বাধীনভাবে কিছু করতে না পারার আক্ষেপও পরিলক্ষিত হতো।

স্বাধীন দেশে সবার একটা স্বাধীনভাবে চলার আর বলার অধিকার আছে। তবে খুব সম্ভবত আমরা তা বাস্তবে দেখতে পারিনি। একটা স্বাধীন দেশে জনগণের স্বাধীনতার স্বাদ নিতে না পারার দুঃখও আমরা কমবেশি দেখে অভ্যস্ত হয়েছি। সৈরাচারীশক্তি মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে এটা না বললে হয়তো কেমন জানি লাগে। লাগাটাই স্বাভাবিক।  কেন বলছি, বিগত কয়েকবছরের শাসনামলের ইতাহাস দেখলে এটি খোলাসা করা সম্ভব হবে।

মানুষ বিচার চেয়েছে, যথাযথ পাইনি। অধিকারের কথা বলেছে, তাদের মুখ চেপে রাখা হয়েছে। সত্যের পক্ষে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তাকে জেলখানা শিকলে বন্ধি করা হয়েছে। তাহলে এটা কি স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ ছিলো নাকি সৈরাচারীশক্তির পেশিবহুল শাসন ছিলো?

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নতুবা প্রশাসন থেকে জনতার কেন দুরত্ব ছিলো তা প্রশ্ন রাখতে চাই না। তবে যে কেউ বলবে, তারা একটা আদেশে নিজেদের দায়িত্ব পালনে বাধ্য করেছে। তবে অনেকক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রমও পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অধিকাংশরই একটা সময়ে একটা নিদিষ্ট জায়গায় নিজেদের খুব অসহায় ভেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ভালো কিছু করার মনমানসিকতা থাকলেও একটা নির্দিষ্ট আদেশে তাদের সিদ্ধান্তকে বাস্তবে রুপ দিতে পারে নি।

অথচ তারাও মানুষ, তাদের সুন্দর সুন্দর চিন্তাভাবনা রয়েছে। তারা এগুলো উম্মুক্ত ভাবে বাস্তবায়ন করতে চায়। তারা তাদের চাকরিতে আর দায়িত্ব পালনে স্বাধীনতা চায়।

এ সুযোগ কেবল আমরাই দিতে পারি। তাদের কাছে গিয়ে, তাদের পাশে থেকে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারি। আমাদের চিন্তাধারা তাদের কাছে শেয়ার করে, তাদের সহযোগিতা কামনা করে দেশের জন্য কাজ করতে পারি, কাজ করতে পারি জনতার কল্যাণে। তারা এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে নিশ্চয়ই প্রস্তুত আছেন।

আসুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে দুরত্ব নয় বরং তাদের সাথে আমরা সুন্দর একটা সম্পর্ক গড়ে তুলি। আমাদের চাওয়া পাওয়াগুলো উপস্থাপন করি। তবে এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও উচিত হবে জনতার কথায় সাড়া দেয়া, জনতার অভাব পূরণে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া। তবে সুন্দর হবে জনতার সাথে প্রশাসনের সম্পর্ক। সমৃদ্ধ হবে রাষ্ট্র।

লিখেছেন: তৌহিদ-উল বারী।




বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.