বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

বাঁশখালীতে মাধ্যমিক প্রতিষ্টানের অতিরিক্ত ফি ও কোচিং ভাতা আদায়, নজর নাই কতৃপক্ষের!

বাঁশখালী জনপদের খবর: শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। তবে শিক্ষা যখন পন্য হয় তখন নৈতিক শিক্ষার সন্ধান দেবে কে? নৈতিক শিক্ষা পাবে কোথা থেকে? বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। ঐতিহ্যগতভাবে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার প্রসারে সরকার বিনামুল্যে বই বিতরণ করে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে। সরকার সহায়ক ব্যাকরণ বইসহ অন্যন্য বই বিনা মুল্যে বিতরণ করছে। এহেন অবস্থায় কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারের ইমেজ নষ্ট করার পাঁয়তারায় নেমেছে। এতে পিছিয়ে নেই বাঁশখালীর মাধ্যমিক স্কুল- মাদ্রাসা গুলো। তারা সরকারী নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত রেজি: ফি:, সেশন ফি নামে নানা হয়রানী করছে ছাত্রদের। 

সরকার কোচিং ব্যবস্থা বন্ধের সিদ্ধান্তে যখন কাজ করছে তখন কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাধ্যতামুলক কোচিং করায় ক্লাসের বাইরেও। কোচিং না করলে ছাত্রদের কে নানাভাবে ধমক দেয়! পাশ করাবেনা, ফাইনাল পরিক্ষায় এটেন্ড করতে দেওয়া হবেনা ইত্যাদি। বাধ্য হয়ে অসাধু শিক্ষকদের কাছে তাদের পড়তে হয় প্রাইভট/ কোচিং। মাস শেষে টাকার জন্য টর্চার করে তারা। অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ সরকার যেখানে প্রাইভেট নিষিদ্ধ করছে সেখানে কেন তাদেরকে কিছু সিন্ডিকেট শিক্ষকের ধমকিতে প্রাইভেট/কোচিং করতে হবে? অভিবাবকদের অনেকে শিক্ষার অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে অ-স্বস্থি প্রকাশ করছে। অনেকে শিক্ষা নামক মৌলিক অধিকার থেকে বিমুখ হচ্ছে- শিক্ষকদের এই অনৈতিক আচরণে। গেল রমজান মাসে স্কুল- মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও তারা গোপনে প্রাইভেট/ কোচিং চালু করেছে। শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামুলক কোচিং করিয়ে সাময়িক পরিক্ষার সময় ধরিয়ে দিচ্ছে বড় অংকের ফিরিস্তি!

আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল- মাদ্রাসার অর্ধবার্ষিক পরিক্ষা। এতে প্রতি শ্রেনী থেকে নিচ্ছে মোটা অংকের পরিক্ষার ফিঃ। কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়- দশম শ্রেনীতে অর্ধবার্ষিক পরিক্ষার ফি: ৬৪০ টাকা থেকে  শুরু করে তৃতীয় শ্রেনীতে ২৮০ টাকা! পরিক্ষার ফি: নির্ধারন করেছে প্রতিষ্ঠান গুলো। এবং এসবেও নিস্তার নেই-
বাধ্যতামুলকভাবে নিচ্ছে কোচিং ভাতা নামে জনপ্রতি ৫০০-৭০০ টাকা! অনুপস্থিত ভাতা ২০০টাকা। এভাবে বড় অংকের টাকার ফিরিস্তি ধরিয়ে দেয় তারা। কিন্তু সরকারী কোন ম্যানুয়ালে বাধ্যতামুলক কোচিং করা, অতিরিক্ত ফি: আদায় করা, অনুপস্তিতির নামে গড়পরতা ২০০-৩০০ টাকা ভাতা আদায় করার সিদ্ধান্ত আছে কী? যদি না থাকে কিভাবে তারা অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করে? বাঁশখালীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনৈতিক চিত্র ঠেকাতে বাঁশখালীতে কর্মরত শিক্ষাঅফিসার বিহীত কোন ব্যবস্থা নিবেন কী? এমনটা প্রশ্ন শিক্ষার্থী ও অভিবাবক মহলে। 

-বাঁশখালী জনপদ ডেস্ক

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.