নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় রোববার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়ীর পাশে থেকে সোমবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে নুর বেগমের (৩৫) লাশ উদ্ধার করে বাঁশখালী থানা পুলিশ। ওই ঘটনার জেরে থানা পুলিশ নিহত গৃহবধূর স্বামী অটোরিকশা চালক মো. বেলালকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১২ বছর আগে গণ্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল ইসলামের পুত্র মো. বেলাল উদ্দিনের সঙ্গে সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা গ্রামের হাসান আহমদের মেয়ে নুর বেগমের সামাজিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি বাড়ির অদূরে প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগম নামের এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বেলাল। প্রায় সময় দিবাগত রাতে গাড়ীর জন্য গ্যাস নিতে চট্টগ্রাম শহরের গ্যাস পাম্পে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে পড়ত বেলাল। কিন্তু সে গ্যাস পাম্পে না গিয়ে বাড়ির অদূরে প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগমের সঙ্গে রাত যাপন করতেন বলে জান যায়।
পরকীয়া বিষয়টি জানতে পারে নুর বেগম মাঝে মধ্যে প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হত। গত রোববার দিবাগত রাতে একই কায়দায় বেলাল ঘর থেকে বের হলে তার পিছু নেয় নুর বেগম। এদিকে নুর বেগমকে বাড়ীতে না পেয়ে তার সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
প্রতিবেশীরা নুর বেগমের স্বামীর পিছু নেওয়ার কথা জানতে পেরে প্রবাসীর স্ত্রী ফরিদা বেগমের বাড়িতে সন্ধান করে। ওইদিন ভোর ৫টায় প্রতিবেশীরা দেখেন, ফরিদার ঘরে নুর বেগমের লাশ। খবর দেওয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, পরকীয়ার কারণে নুর বেগমকে খুন করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম রয়েছে। ওই ঘটনার জেরে তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম/রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন