বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

বাঁশখালীতে ব্যাটমিন্টন খেলায় বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের মহোৎসব, রয়েছে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা

বাঁশখালীতে ব্যাটমিন্টন খেলায় বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের মহোৎসব, রয়েছে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা

শিব্বির আহমদ রানা: বিদ্যুৎ একটি জাতীয় সম্পদ। বিদ্যুতের অপচয় কোন কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। অার যদি বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগে যাচ্ছে তাই ব্যবহার হয় তখন জাতীয় পর্যায়ে বৃহত্তম অংশে ক্ষতির মাশুল গুণতে হয়। শুরু হয়েছে শীতের মৌসুম। শীত মওসুমের শুরু থেকে বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে বিদ্যুতের তারে (লাইনে) আংটা লাগিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা। সন্ধ্যার পর হতে মধ্য রাত পর্যন্ত অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এ খেলা চলে আসলেও নজর নেই বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষের। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মহোৎসবে প্রতি রাতে এই উপজেলায় শতাধিক স্পটে বাতি জ্বালিয়ে চালানো হচ্ছে এ  মৌসুমি খেলা। অপরদিকে ঘটে যেতে পারে যে কোন দূর্ঘটনা।

বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে অবৈধ পন্থায় এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সরকারকে মোটা অংকের লোকসান গুণতে হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে সমাজের উচু পর্যায়ের ব্যক্তিরাও ‘ফাও’ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সহযোগিতা যোগাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাতে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের নামে রাজনৈতিক দলের নেতা ও সমাজপতিরা এসব খেলায় হাজার হাজার টাকার যোগান দিলেও বিদ্যুৎ বিল প্রদানে কোনো বরাদ্দ রাখা হয় না। ফলে বেসামাল অবস্থায় চলছে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রতিযোগিতা।

বিদ্যুৎ এর অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত খেলায় দৈনিক কয়েক হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহে কেন্দ্র প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কয়েকটি ব্যাটমিন্টন খেলার স্পটে সরজমিনে দেখা যায়, প্রতি খেলার মাঠে ৫০০ ওয়াট বা তারও বেশি ক্ষমতার ছয়টি কিংবা আটটি বাল্ব লাগিয়ে খেলার মাঠকে আলোকিত করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন স্পটে ও উপজেলার অভ্যন্তরে পাড়া মহল্লার তরুণ যুবকসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতে এ খেলা চলে আসছে। তারা সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটির মেইন তার থেকে হুক লাগিয়ে অবৈধ সংযোগ নিয়ে এ খেলার আয়োজন করে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাতি জ্বালিয়ে এ খেলা চলে। বিদ্যুৎ এর এ অপচয়ের ঘটনা প্রকাশ্য ঘটলেও তা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট বাঁশখালী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি এর নেই কোন তৎপরতা। কতিপয় অসাধু বিদ্যুৎ কর্মচারীর  যোগসাজশে এ অবৈধ সংযোগে ব্যাডমিন্টন খেলার হিড়িক চলছে।

উপজেলার পুঁইছড়ি, ছনুয়া, শেখেরখীল, চাম্বল, শিলকুপ, জলদী, বৈলছড়ি, কালীপুর, বাণীগ্রাম, বাহারছড়া সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজার, সাংগঠনিক অফিস, স্কুল-মাদরাসার মাঠ সহ পাড়া মহল্লার বিভিন্ন স্পটে চলছে প্রায় দুইশতাধিক স্থানে  বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগে ব্যাটমিন্ট খেলা। যার ফলে প্রতিরাতে কয়েক হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যাচ্ছে।লোকসান হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নাঈমুল ইসলাম বাঁশখালী জনপদ টোয়েন্টিফোর কে বলেন, বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি। রিতীমতো আমরা গাইড লাইন দিচ্ছি। এ ব্যাপারে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। যে সকল এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা চলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলার ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহিম  বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের দক্ষ লোক বা বিদ্যুৎ লাইনম্যান ছাড়া সংযোগ দেওয়ার সাহস কারো নেই। এ কাজে অবশ্যই বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা জড়িত।’

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম/রানা

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.