advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

চট্টগ্রামে ১১ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত, বাকি সিদ্ধান্ত আজ

নতুন মুখ প্রাধান্য দিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত তালিকায় চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১১টিসহ সারাদেশে ২০৬টি আসনের একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। দলটি আজ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের নামও ঘোষণা করবে। চট্টগ্রামের অন্য ৫টি আসনে প্রার্থীর নাম আজ ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে তিনটি ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো এবং অপর ২টিতে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন করবে বলে জানা গেছে। তবে এদের নামও চূড়ান্ত করা আছে বলে বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে। 

বিএনপির ঘোষিত তালিকায় চমকও রয়েছে। এতে পটিয়া আসনে নাম নেই সাবেক সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েলের। এর আগে তিনি এ আসনে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঘোষিত তালিকায় ৭ জনই নতুন মুখ। তালিকায় নেই কোনো নারী প্রার্থী। প্রার্থীদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন দুইজন। আসনওয়ারি বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন, 
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই): বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): সাবেক পিজিআর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-): উত্তর জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইসহাক কাদের চৌধুরী। তিনি দলের যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিকদার।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া): উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া): মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী): দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট): আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী): সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানান, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে তিনটি জোটের শরিককে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ক্ষেত্রে এই তিনটি আসনের প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াতে আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক।
এদিকে, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী আজ শনিবার ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিল খেলাপির কারণে গত ২ ডিসেম্বর দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার। এরপর তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন। আজ তার আপিলের শুনানি হবে। একই আসনে আপিল করে মনোনয়ন ফিরে পান বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। তাছাড়া এ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানও। তাই আজ জানা যাবে এ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে গতকাল চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। আজ জানা যাবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর নাম। তবে এর আগে বিল খেলাপির কারণে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশার মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার। এরপর তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন। আপিলে গত বৃহস্পতিবার তিনি মনোনয়ন ফিরে পান। এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাতারপ্রবাসী নুরুল মোস্তফা খোকনও চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিএনপির একটি সূত্র জানান, সন্দ্বীপ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা’র মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি। সূত্র-পূর্বকোণ

কোন মন্তব্য নেই