advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

বাঁশখালী উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর রাতে আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে ইউএনও মোমেনা আক্তার ||বাঁশখালীজনপদ||


জনপদ প্রতিবেদনঃ বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায় বিভিন্ন খবরাখবর নিতে ছুটে যাচ্ছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোমেনা আক্তার। অাজ মধ্য রাতে ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে আঘাত হানার আশংকা রয়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে। এ নিয়ে যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়াতে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। উপজেলার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি, প্রাকৃতিক দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ অফিস ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকেদের কে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণির দূর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে এখন স্থাননীয়রা রাত্রযাপন করছে। উপজেলার সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের রয়েছে বেশ তৎপরতা। তারা সারাদিন নাওয়া-খাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে কাজ করছে উপকূলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে। এখনো পর্যন্ত বাঁশখালী উপকূলীয় অঞ্চলে তেমন কোন দূর্ঘটনার মতো কিছু ঘটেনি। গত শুক্রবার ৩ মে দিনের বেলায় সকাল ৯টার দিকে হালকা বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরে আবার আকাশ পরিস্কার রুপ ধারণ করেছে। সন্ধ্যার পর পর আকাশ মেঘলা রুপ ধারণ করেছে। সমুদ্রে পানি আগের চেয়ে বেশী উঁচুতে এসেছে। এখনো তেমন কোন খারাফ পরিস্তিতির মতো কিছু ঘটেনি, তবে ধমকা হাওয়া বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও জনসাধারণকে আশ্বস্থ করতে রাতেই ছুটে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তিনি ঘুরে ঘুরে আশ্রয় প্রকল্প গুলো দেখছে এবং উপকূলীয় এলাকার লোকজনদেরকে আশ্বস্থ করেছে। বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের জনবল মাঠে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

আজ রাত ১০টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াডের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার সহ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদ ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ ( শনিবার, ৪ মে) ভোর নাগাদ ফণী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। তবে ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের হিসাবে, ফণী বাংলাদেশের প্রবেশ করতে পারে শনিবার সন্ধ্যার দিকে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার, যা ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। অর্থাৎ, তখন ফণী থাকবে ঘূর্ণিঝড়ের পর্যায়ে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। আর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'র অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই