নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সরকারীভাবে রোপনকৃত প্রায় ৩ যুগের পুরোনো ৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৪টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠে স্থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরোদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (১জানুয়ারী) সরেজমিনে দুপুরে দেখা যায়, পৌরসভার আস্করিয়া পাড়া সড়কের ব্র্যাক কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে বিশালাকার চারটি গাছ কাটার কাজ করছে প্রায় ১৫ জন শ্রমিক। গাছ ৪টি কাটার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গাছের ডালপালাগুলো ট্রাকে তোলা হচ্ছে।
জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভা হওয়ার আগে এ গাছগুলো সরকারিভাবে রোপন করা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এই গাছগুলো নিজেদের দাবি করে কাটতে থাকে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের উপকূল এবং জলদী স্থানীয় রেঞ্জের কর্মকর্তারা কেউ অবগত নন বলে জানান তারা। তবে গাছগুলো কাটছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা আলী। তিনি পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, মোস্তফা আলী এক সময় বিএনপির রাজনীতি করলেও তিনি এখন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার হিসাবে পরিচিত।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা আলী বলেন, ‘আস্করিয়া সড়কে পাঁচটি গাছ কাটার জন্য অনুমতি দিয়েছেন পৌরসভা মেয়র।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পরপর গাছগুলো সরকারি উদ্যোগে লাগানো হয়েছিল। প্রভাব খাটিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। সকালের দিকে গাছ কাটার সময় স্থানীয়রা বাধা দিলেও ঝামেলা এড়াতে আর কেউ কথা বলেননি।’
পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হারুন বলেন, ‘আমার এলাকায় সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। যিনি কাটছেন তিনি এবং মেয়র বিষয়টি গোপন রেখে কাজটি করেছেন।‘ যিনি গাছগুলো কাটছেন তিনি এক সময় বিএনপির নেতা হলেও এখন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ঠিকাদার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
একই কথা বললেন কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন ও বাবলা কুমার দাশ। তারা বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে পৌরসভায় আলোচনার ব্যাপারে তারা অবগত নন।
এদিকে গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে পেরে বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে মোস্তফা আলীকে থানায় নিয়ে এসে গাছ কাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর জন্য বসিয়ে রাখেন। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি থানায় ছিলেন।
এ বিষয়ে পৌরসভা মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কয়েকটি গাছ কাটতে কাউকে জানাতে হয় না এবং টেন্ডার দিতে হয় না। গাছ কাটার ব্যাপারে ফাইলপত্র অফিসে রয়েছে। আমি এখন শহরে আছি।’ এ কথা বলেই তিনি মোবাইল ফোন রেখে দেন।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'র অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।
আপনার মেইল পাঠাতে:
banshkhalijanaphad24@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন