advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

বাঁশখালীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ -বাঁশখালীজনপদ২৪.কম


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইরি-বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। উপজেলার পুঁইছড়ি, চাম্বল, শীলকূপ, বৈলছড়ী, কালীপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, কাথারিয়া, ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, সরল ও জলদী এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা। পাকা ধান ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিক রমজানের রোজা নিয়েও নিরলস পরিশ্রম করছে মাঠে। স্বপ্নের চকচকে সোনালী পাকা ধান কৃষকের ঘরে উঠছে। নতুন ধানের সৌরভ ও পাখির কলতানে এখন মুখরিত মাঠগুলো। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্য বিলের জমির প্রায় সব ধানই ঘরে উঠবে আশা করছেন চাষিরা।

কৃষকরা বলছেন, গেল কয়েক বছরের মধ্যে এবার বিলের জমিগুলোতে ধানের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘায় মোটা ধানের ফলন হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ মণ। সরু ধানের ফলন আসছে ২৫ থেকে ২৮ মণ। এটিকে বাম্পার ফলন বলছেন কৃষকরা। গেল কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের কৃষিধানে তেমন প্রভাব পড়েনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমরা সোনালী ধান যথাসময়ে ঘরে তুলতে পারবো।

উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের বাঘমারা বিলের বোরো চাষি মুহাম্মদ মোক্তার বলেন,

চলতি মৌসুমের উৎপাদন বিঘা প্রতি গেল বছরের চেয়ে ৪ থেকে ৫ মণ বেশি হচ্ছে। প্রতি বিঘায় খরচ পড়েছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আমি নিজের ১ কানিসহ বর্গা নিয়ে সাড়ে তিন কানি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। এ বছর ভাল ফলন হয়েছে। আজকে ধান কাটা শুরু করেছি। আমি মূলত উৎপাদিত ধান বিক্রি করি না, নিজের পরিবারের প্রয়োজনেই ধান চাষ করি।

মুহাম্মদ রাশেদ নামে অপর এক চাষি বলেন,

নতুন ধানের বাজার দর ভাল। প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা মণ দরে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে যথাসময়ে আমরা সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারব। সামনে ইদুল ফিতর। ইদের পরেই পুরোদমে ধান কাটা শুরু করবে কৃষকেরা। আশা করছি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুরো এলাকায় ধান কাটা শেষ হবে।

চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, ভরা মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দর কমায়। বাধ্য হয়ে কম দরে ধান বিক্রি করতে হয়। তাই বাজারে তদারকি বাড়ানো,পাশাপাশি ফলন ও উৎপাদন খরচ হিসাব করে সরকারি দর বেধে দেয়ার দাবিও জানান কৃষকরা।

বিলের জমি থেকে উৎপাদিত ধান এখন ঘরে তোলাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ হিসেবে চাষিরা বলেন, কালবৈশাখীর প্রভাব, বৃষ্টির পানিতে ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে রমজানে শ্রমিক সংকটের দুশ্চিন্তায় পরেছেন তারা।

বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,

এবারের বোরো মৌসুমে বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০ হাজার হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজতলার হিসাব এবং মাঠ হিসাব অনুযায়ী ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এবার ১০ হাজার ৩০০ জন কৃষককে বোরো ধানের উফসী ও হাইব্রিড বীজ দেওয়া হয়েছে। উফসী বীজের সাথে সারও দেওয়া হয়েছে বোরোচাষীদের মাঝে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে।

বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু সালেক জানান,

চলতি মওসুমে বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। মাঠ জরিপে দেখা গেছে এবার ভাল ফলন হয়েছে। রমজান শেষে ইদের পরেই পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হবে বলে জানান তিনি।




বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com 

কোন মন্তব্য নেই