ভালোবাসা পেতে মানুষ বিদ্রোহী হয়, আত্মসম্মান ধুলোয় মিশে দেয়। এমনকি হাসি মুখে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে কিংবা জীবন বিপন্ন করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হননা। ভালোবাসার মানুষকে পেতে ভাইয়ে ভাইয়ে কিংবা বন্ধুত্বে বিভাজন হয়। পৃথিবীর প্রথম হত্যাযজ্ঞটিও হয় ভালোবাসার আকর্ষণে। ভালোবাসা ধনী গরিবের ভেদাভেদ মানেনা। ভালোবাসা পেতে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়। জীবন সংগ্রামী ছেলেটিও প্রেমে ব্যার্থ হয়ে নেশাগ্রস্থ হয়। প্রাসাদ ছেড়ে কুঁড়েঘরে অবস্থান নেয়। জাতিভেদ মানেনা। মদন দেবতার তীর বিদ্ধ হয়ে প্রেমে বিভোর হয়। লাঞ্চনা, গঞ্জনা শত অপমান উপেক্ষা করে প্রেম থেকে পরিণয় হয়। গড়ে তোলে ছোট্ট সুখের সোনালি নীড়। মনের সাথে মন মিলে নারী পুরুষ প্রেমের উত্তাল তরঙে হাবুডুবু খায়। রচনা করে সুখের অলিখিত ইতিহাস।
এত স্বর্গীয় সুখেও ফাটল ধরে সামান্য ভূলে। তর্কাতর্কী ও ছাড় না দেওয়ার মানসিকতায় শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর সাংসারিক দ্বন্দ্ব। দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হয় সন্দেহ সংশয় অবিশ্বাস ও অসম্মানবোধ। ফলে দুজনার স্বর্গীয় প্রাসাদে অনুপ্রবেশ করে তৃতীয় পক্ষ। সে নারী কিংবা পুরুষ হতে পারে। ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায় মধুর সম্পর্ক। অন্য দ্বীপে ছুটে চলতে মন চায়। হারানো প্রেম খুঁজে পেতে কল্পণার অপ্সরীকে খুঁজে মন। গরল জীবন থেকে মুক্তি চায়। নির্ভর যোগ্য বন্ধু খুঁজে। নতুন করে ভালোবাসা পেতে ইচ্ছা করে। সুখের ছোঁয়ার আশায় নয়ছয় হয় পবিত্র বন্ধনে সাজানো সুখের বাগান। ফলে পারিবারিক জীবনের বন্ধন ছুঁড়ে ফেলে পরকীয়া জীবন বেঁচে নেয়। তখন প্রেম ভালোবাসার নীড়ে বসন্তের কোকিল হয়ে আসে ক্ষণিকের সুখ জাগানিয়া তৃতীয় পক্ষ বা পরকীয়া প্রেমের কালো বক। শুরু হয় জীবনের অন্ধাকার দিক।শুভ্র বসন কালো দাগে নীল অনুভূতির বিদ্রোহী প্রকাশে পরকীয়া প্রেমের নব যত্রা হয়।
পরকীয়া জীবন থেকে ফিরে আসতে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন-
*স্বামী স্ত্রী পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ।
*তুচ্ছ ব্যাপারে তর্কাতর্কী না করা।
*সন্দেহ সংশয় পরিহার করা।
*একগোয়েমী ভাব পরিহার করা।
*ভালোবাসায় কোন ঘাটতি না রাখা।
*নিজেদের বিষয় ভাবনার পরিবর্তন আনা।
*নিজেদের ভূলত্রুটি তৃতীয় পক্ষকে রাষ্ট্র না করা।
*ব্যস্ততার মাঝেও খোঁজ খবর রাখা।
*জীবন সঙিকে তুষ্ট করতে সচেষ্ট হওয়া।
*অভ্যাসের পরিবর্তনে সচেষ্ট হওয়া।
*অন্যের কথা যাছাই বাছাই নাকরে অহেতুক দোষারোপ করে অহংকার প্রকাশ করা।
*একে অন্যের পছন্দের প্রতি যথাসাধ্য গুরুত্বারোপ করা।
*ধর্মীয় বিশ্বাসে পরস্পরের অধিকারে সচেতন হওয়া।
*ধর্মীয় বিধানের আলোকে জীবন যাপন করা।
*সর্বোপরি নি:স্বার্থ ভালোবাসায় স্বামী স্ত্রী বন্ধু হয়ে প্রেমিক যুগল হয়ে ওঠা।
তাহলে কেবল সুদৃঢ় হবে পারিবারিক বন্ধন। স্বর্গীয় সুখে পরিপূর্ণ হবে ভালোবাসার অনিন্দ সুন্দর রূপ। মজবুত হবে পারিবারিক ভিত্তি। পরোকীয়ার কালো থাবা থেকে মুক্তি পাবে শত শত নারী পুরুষ।
-লেখক: কবি ও কলামিষ্ট
জসীম উদ্দিন মনছুরি
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'রঅনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
banshkhalijanaphad24@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন