advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

উন্নয়নের ছোঁয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থা



দেশের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী থাকে। এ কথা অনস্বীকার্য যে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া একটি দেশের অগ্রগতি কখনো সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়ন মানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। যোগাযোগ সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বপ্নের পদ্মা সেতু কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধুর টানেল নির্মাণসহ   অসংখ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। দেশের প্রধান প্রধান সড়কগুলি অনেক ক্ষেত্রে চার লেনে  প্রশস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। প্রধান  প্রধান সড়কগুলি এত উন্নয়ন হয়েছে যে, দেখে মনে হবে বাংলাদেশ যেন একটি উন্নত রাষ্ট্রের মডেল।সড়কের মাঝখানে দেবদারু গাছ থেকে যাত্রীরা বিনোদন  প্রিয় হয়ে ওঠ। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের কাছে এই গাজগুলি দেখে মনে হবে এটা যেন একটা বিনোদনকেন্দ্রের যাত্রাপথ। 

সরকারের প্রধান স্লোগানে ছিল গ্রাম হবে শহর, শহর হবে নগর। নগর হবে মহানগর। এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে গ্রামীন সড়ক গুলি সংস্কার করে  ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করার সম্ভব।  মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের কাছে জনগণের প্রত্যাশা গ্রামের সড়কগুলো অনতিবিলম্বে সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করা হোক। তাহলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ গ্রামীণ মানুষেরা উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়ে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের কারণে শহর ও নগরের দূরত্ব কমে আসবে।

একটি সরকারের পক্ষে তার পাঁচ বছরের সংক্ষিপ্ত  সময়ে এতোটুকু  উন্নয়ন করা অসাধ্য সাধিত হয়েছে বলে আমার দিকে বিশ্বাস। সরকারের আমলে অনেকগুলি  বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মাতারবাড়ি কয়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যতম। তাছাড়া অনেকগুলি শিল্পাঞ্চল ঘোষণা  করা  হয়েছে। এত উন্নয়ন কোন সরকারের আমলে করা সম্ভব হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে স্বগর্বে  মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্রবিমোচন সরকারের মহা পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন। কৃষি খাতেই উন্নয়নও অনস্বীকার্য। মেট্রোলের কারণে সময়ের ব্যবধান অনেকটা কমে এসেছে যাত্রীদের। যান্ত্রিক কোলাহল ও যানজটের যুগে সময় বাঁচানো অনেকটা কষ্টসাধ্য। এ অবস্থায় মেট্রো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী বিপ্লব এনেছে। বঙ্গবন্ধুর টানেল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম একটু প্রকল্প। নদী শাসন করে নদীর তলদেশে এভাবে টানেল নির্মাণ করা সত্যি  সৌভাগ্যের ব্যাপার। উপকূলীয় অঞ্চলে প্লাবন ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে নির্মাণ করা হয়েছে শক্তিশালী  বেড়িবাঁধ। দেশের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো হলেও উপসড়কগুলি এখনো খানা-খন্দে ভরপুর। সরকারের সময় শেষ হয়ে যাওয়াতে হয়তো প্রকল্পগুলো হাতে নেয়া সম্ভব হয়নি। জনগণের প্রত্যাশা যদি উপসড়কগুলি সংস্কার করা হয় তাহলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তাহলেই কেবল গ্রামের সাথে শহরের দূরত্ব কমে আসবে। অনেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থা কারণেই গ্রাম থেকে শহরে চলে আসে ফলে গ্রামীণ জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন রয়ে যায়। সরকারের প্রধান স্লোগানে ছিল গ্রাম হবে শহর, শহর হবে নগর। নগর হবে মহানগর। এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে গ্রামীন সড়ক গুলি সংস্কার করে  ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করার সম্ভব।  মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের কাছে জনগণের প্রত্যাশা গ্রামের সড়কগুলো অনতিবিলম্বে সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করা হোক। তাহলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ গ্রামীণ মানুষেরা উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়ে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের কারণে শহর ও নগরের দূরত্ব কমে আসবে।

-লেখক: কবি ও কলামিষ্ট

জসীম উদ্দিন মনছুরি



বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail

কোন মন্তব্য নেই