বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

পূরণ হচ্ছে কি বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন?

বাঙালীর ইতিহাস পড়ে আসলে দেখা যায়,  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম সবার উপরে আসে। তিনি দেশের মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে লড়ে গেছেন। কতো সংগ্রাম কতো তিতিক্ষা উপেক্ষা করেছেন। ৩০৫৩ দিন কাটিয়ে দিলেন জেলে বসেই। তার চাওয়া ছিলো বাংলার মানুষের সুন্দর ও সুষ্ঠু্ভাবে যেন বেঁচে থাকতে পারে। কোনো বৈষম্য যেন বাংলার মানুষকে গ্রাস করতে না পারে। রাজনৈতিক ভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে। বলতে গেলে তিনি ছিলেন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আসলে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন পরিপন্থী কর্মকান্ড বাংলাদেশে নিত্য চলমান।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সারা বাংলা। প্রতিবন্ধী ও নৃগোষ্ঠী কোটা ছাড়া বাকি কোটা বাতিল করতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। একটু ভেবে দেখলে বুঝা যায় কতটা বৈষম্যমূলক এই কোটা ব্যাবস্থা। ৭০% লোক কোটাপ্রথায় নেওয়া হলে মেধাবীদের অংশীদারিত্ব কোথায়.? ১৯৭১ সালে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সবার বংশধররা কোটা প্রথায় বিভিন্ন সরকারি অফিস আদালতে চাকরি করবে বিনা বাধায়। শুধু মুক্তিযোদ্ধার নাতি হলেই চলবে। বাকীরা মেধাবী হয়েও কোটার কাছে হার মেনে বেকারত্বের মতো অভিশাপ এ পুড়বে। কতটুকু বৈষম্যের শিকার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার মেধাবী সন্তানরা।

কিছুদিন আগে দেখলাম কোটাধারী ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের সমর্থক কিছু জনগণ রাস্তায় নেমে তাদের কোটার যুক্তিকতা তুলে ধরতেছে। তাদের বক্তব্য অনুসারে, তাদের দাদা-নানা কিংবা আত্মীয়রা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাংলাদেশ প্রতিষ্টার জন্য লড়েছেন তাই তাদের কোটা ব্যবস্থায় যুক্তিযুক্ত।

তারা হয়তো জানে না শুধু নামধারী বাংলাদেশ গড়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো না আরো স্বপ্ন ছিলো  বৈষম্যবিহীন দূর্নীতিমুক্ত  দেশ গড়া। মুক্তিযোদ্ধার বংশধর হিসেবে কোটা দেওয়া যায় তবে সেটা ১০%। মেধাবীদের ৯০% মূল্যায়ন করা উচিত। নাইলে অযোগ্য লোকে সরকারী অফিস আদালত ভরপুর হয়ে যাবে। অফিস আদালত পূর্ণ হবে সরকারি নামধারী অসাধু ব্যবসায়ী।

সাম্প্রতিক কয়েকটা দূর্নীতিমূলক কর্মকান্ড  চক্ষুগোচর হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে বি সি এস এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারী পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ার ঘটনা। দেশে দূর্নীতি কতটা চলমান হলে প্রশ্নফাঁসের মতো কর্মকান্ড ঘটে থাকে। এছাড়াও এস এস সি ও এইচ এস সি'র মতো পরীক্ষায় ও প্রশ্ন ফাঁস হয়। যাতে করে অপরিপক্ক ছাত্ররাও টাকার জোরে প্রশ্ন কিনে জিপিএ-৫ পেয়ে যাচ্ছে। উক্ত দূর্নীতিতে মেধাবীরা পিছিয়ে পড়ছে। বড় বড় সরকারী কর্মকর্তা এসব এর তৎপরতা উপলব্ধি করছেন না কিংবা উপলব্ধি করে ও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। 

দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে থাকার অপেক্ষায়। এসব করতে থাকলে সোনার বাংলাদেশ একদিন বিলীন হয়ে যাবে। বলা হয়ে থাকে "যে দেশে যত বেশী মেধাবী মূল্যায়ন করা হয় সে দেশ ততো উন্নত হয়।" কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসলে দেখা যায়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী অবহেলিত মেধাবীরা, দূর্নীতিবাজদের দাপটে ভরপুর অফিস আদালত। এসব চলমান থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। এসব থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কর্তৃপক্ষকে বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।



লেখক: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

(শিক্ষার্থী: মাষ্টার নজির আহমেদ কলেজ)



বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.