জনপদ রিপোর্টঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে চার লবণচাষির প্রায় ২৫ কানি জমির প্রস্তুতকৃত লবণ সহ কাগজ কেটে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
গত রবিবার (২২ মার্চ) গভীর রাতে পারিবারিক পূর্বশত্রুতার জেরে গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনার নাপিত ঘোনা লবণ মাঠে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ লবণচাষীরা।
এ ঘটনায় লবণচাষী আমান উল্লাহর ১০ কানি, সৈয়দ মিয়ার ৫ কানি, আমান উল্লাহ প্রকাশ কালুর ৬ কানি, নেজাম উদ্দিন এর ৫ কানি জমির প্রস্তুতকৃত লবণ মাঠের সব কাগজ এলোপাতাড়ি কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত লবণচাষীদের একজন আমান উল্লাহ বলেন, পশ্চিম বড়ঘোনার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জাকের হোছেন এর পুত্র সৈয়দ মিয়ার সাথে একই এলাকার আব্দুস সালামের পুত্র আব্দু শুক্কুর, আব্দু ছবুর, আব্দুল খালেক, মানিক এবং ছাবের আহমদের পুত্র আলমগীর বাদশাহর সাথে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে শত্রুতামূলকভাবে তারা গভীর রাতে আমাদের লবণ মাঠের প্রস্তৃতকৃত জমির কাগজ কেটে দেয়। এতে আমরা আত্মিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
আলমগীর বাদশাহ কে ঘটনার মূল হুকুম দাতা বলে দাবী করে ক্ষতিগ্রস্থ লবণচাষীরা জানান, 'তারা সমাজে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না, কারণ তারা রাতের আঁধারে কিংবা পেছন থেকে কখন আক্রমণ করেন তা বলা যায় না। তারা আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকী ধমকী দিচ্ছে।'
এ বিষয়ে তারা অবগত করলে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেন বলে জানিয়েছেন গন্ডামারা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মুহাম্মদ শরীফ ও চৌকিদার মুহাম্মদ পারভেজ।
সর্বশেষ আইনের সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ এবং সঠিক বিচারের দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থ লবণচাষীরা।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'র অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।
আপনার মেইল পাঠাতে:
banshkhalijanaphad24@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন