নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মাছের ঘোনায় দুর্বৃত্তের বিষ (কিটনাশক) প্রয়োগে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠে।
রোববার (১৯ জুন) রাত আনুমানিক ১টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ইজারাদার ছাদেকের মাছের একটি ঘোনায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৬ থেকে ৭ একর আয়তনের মাছের ঘোনায় বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা মরে যায়। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ লক্ষাধিক টাকা বলে দাবী করেন ওই ঘোনার ইজারাদার মোহাম্মদ ছাদেক।
ঘোনার ইজারাদার মোহাম্মদ ছাদেক স্থানীয় ছমদ আলী সিকদার বাড়ীর নুরুল ইসলামের ছেলে।
ছাদেক জানান, পূর্ব বড়ঘোনা হামিদ উল্লাহ টেকের পুর্বপাশে জলকদরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৬ থেকে ৭ একরের জমিতে প্রতিবছর ইজারা নিয়ে মাছের ঘোনা করে থাকি। এতে চিংড়ি, ট্যাংরা, কোরাল, বাটা সহ নানা জাতের মাছের চাষ করি। এ বছরও ধার কর্জ করে দেড় লক্ষ টাকায় ঘোনার লাগিয়ত নিই, আরো দেড় লক্ষ টাকার বিভিন্ন জাতের পোনা ছাড়ি। শ্রম ছাড়া তিন লক্ষাধিক টাকার পুঁজি এখানে দিয়েছি। এতে মেয়াদপূর্তিতে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘোনাটি আমার প্রতিবেশীরা নেওয়ার জন্য বিগত বেশ কয়েকবছর থেকে চেস্টা করে ব্যার্থ হলে বেশ কয়েকবার আমার উপর হামলাও করেছে তারা। এ নিয়ে কোর্টে মামলাও চলমান আছে। প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীরা এ এলাকায় আমি কিভাবে মাছের ঘোনা করি দেখে নেবে বলে চ্যালেঞ্জও দিয়ে রেখেছিল। তারা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ঘোনায় কিটনাশক ঢেলে সব মাছ মেরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরোদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
গন্ডামারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মামুন জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, মাছের ঘোনায় কিটনাশক প্রয়োগের ঘটনার বিষয়ে আমি মোখিকভাবে অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন