advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

নির্বাচন কমিশন ও জনগণের প্রত্যাশা



দর্শ রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি সরকার ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান হচ্ছে সরকার। সরকার জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থেকে রাষ্ট্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড  সংঘটিত করে থাকে। সরকার ছাড়া একটি রাষ্ট্রের চিন্তা অকল্পনীয়। সরকার তিনভাবে গঠিত হয়ে থাকে। 

১.নির্বাচন বা জনগণের প্রত্যক্ষ রায়ে।

২.রাজতন্ত্রের মাধ্যমে। 

৩. সেনা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। 

তন্মধ্যে সর্বোত্তম শাসন ব্যবস্থা হল গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন। এটাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। গণতন্ত্র বলতে আমরা বুঝি জনগণের প্রত্যাশা ইচ্ছা ও আকাঙক্ষার প্রতিফলন। এই ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণ বিনা বাধায় ভয়ভীতি  ছাড়া নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে সংসদে পাঠান।  গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান থাকে।জনগণ  যাকে ইচ্ছা  রায় দিয়ে  সংসদে পাঠাতে পারেন। জনগণের রায়ে যে দল অর্ধেকেরও বেশি সমর্থন পায় তারাই সরকার গঠন করতে পারেন। সরকার জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকেন। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে, রাষ্ট্রের কল্যাণে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে  এবং বহির্বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক রেখে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। সরকারের কর্মকান্ড মানে জনগণের প্রত্যক্ষরায় বা জনসমর্থন । যেহেতু তারা অর্ধেকরও বেশি  জনসংখ্যার রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। 

কল্যান রাষ্ট্রে  নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থাই সর্বোত্তম সরকার ব্যবস্থা। আমরা জানি সরকার  রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য  আইন প্রণেতারা  একটি সংবিধান রচনা করে থাকেন। এই সংবিধান হবে লিখিত ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।  সংবিধানের লিখিত থাকবে রাষ্ট্র পরিচালনার  রীতি নীতি। 

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বহু দলীয় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক দল থাকে। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হয়। এই নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক ও জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন। নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কমিশন থাকে।যে কমিশন হবে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা পরিচালনা করবেন। নির্বাচনে থাকবে লেবেল প্লেয়িং  সুযোগ সুবিধা। সব দল সম অধিকার ও সমান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকবেন। এই নির্বাচন হবে উৎসব  মুখর ও জনগণের প্রত্যাশা প্রতিফলন।নির্বাচন কমিশন যদি শক্তিশালী ও স্বতন্ত্র স্বাধীন না হয় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা কখনো সম্ভব হবে না। নির্বাচনের জন্যও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। নির্বাচন কমিশন সব দলের সাথে  সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা কিভাবে করা সম্ভব আলোচনা  করেই নির্বাচন ব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকবেন। নির্বাচন কমিশন থাকবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্র। প্রয়োজনে নির্বাচন  কমিশন নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায় দায়িত্ব নিতে পারেন। এতে করে সকল দল সম অধিকার ভোগ করতে পারবে। ফলে নির্বাচন হবে পক্ষপাতহীন সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনে  জনগণের প্রত্যক্ষ আশা আকাঙ্ক্ষা ও রায় প্রতিফলিত হয়। ফলেই জনগণ পাবে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার  ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত সরকার। এই সরকারের দায়িত্ব হবে বহুবিধ। 

১.রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষা ২.উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ৩.সুষম বন্টন ৪.নিরেপাক্ষ বিচার ব্যবস্থা ৫.জবাবদিহিতা ৬.দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র পরিচালনা ৭.বহির্বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা ৮.কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ৯.আমদানি রপ্তানি ১০.কর্মসংস্থান ১১.শিল্প উন্নয়ন ও কল কারখানা  স্থাপন ১২.প্রচার মাধ্যমে স্বাধীনতা ইত্যাদি সরকার করে থাকেন জনগণের কল্যাণের জন্য । গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ সরকারই সর্বোত্তম সরকার। 

সরকারের সমালোচনা করার জন্য শক্তিশালী একটি বিরোধী দল থাকবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদলের ভূমিকাও কম নয়। বিরোধী দল সরকারের ভুল ত্রুটিগুলি সংসদে গিয়ে  সমালোচনার মাধ্যমে দেখিয়ে দিবেন যাতে সরকার   শুদ্ধভাবে সুন্দরভাবে সুশৃংখলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তন কখনো সম্ভব নয়। সরকার পরিবর্তনের জন্য জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সকল দলের উচিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। এইজন্য সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ হতে পারে এবং প্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই নির্বাচনকালীন সরকারও গঠিত হতে পারে।তাতে দেশের জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে এবং জনগণ পাবে একটি উন্নতমানের রাষ্ট্র এবং সুন্দর সরকার ব্যবস্থা। যে সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে এবং বহির্বিশ্বের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে  নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা  হস্তান্তর। জনগণের প্রত্যাশা জনগণ তাদের  পছন্দের প্রার্থীকে রায় দিয়ে সংসদে পাঠাবে এবং রাষ্ট্রের  জন্য কল্যাণমূলক একটি সরকার গঠিত হবে এটাই জনগণের প্রত্যাশা। নির্বাচন কমিশন একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিক। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের জন্য একটি কল্যাণমূলক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হোক এটাই সবার কামনা ও প্রত্যাশা। নির্বাচন কমিশন সুন্দর ও প্রত্যাশিত রায়  উপহার দিয়ে  নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিক।  জনগণের  প্রত্যাশা ও কামনা একটু সুন্দর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন।

-লেখক: কবি ও কলামিষ্ট

জসীম উদ্দিন মনছুরি



বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail

কোন মন্তব্য নেই