শিব্বির আহমদ রানাঃ দারোগা বাজার থেকে জালিয়াখালী নতুন বাজার পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারের সড়কটি ডাকবাংলো সড়ক নামে পরিচিত। এসড়ক দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকে। সড়কের পুরাতন বাজার থেকে জালিয়াখালী নতুন বাজার পর্যন্ত শীলকূপ অংশের প্রায় অর্ধ কিলোমিটার কার্পেটিং কাজ শেষ হয়েছে দু'মাস আগে। জালিয়াখালী বাজারের পূর্বে মনকিচর সলইম্যার ছড়ার সাথে জলকদর খাল সংযোগ কালভার্টের ঢালাই ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওই কালবার্টের ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে বিভিন্ন যানবাহন সহ সাধারণ পথচারী। যে কোনো সময় কালভার্টের একটি অংশ ধ্বসে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার দিঘীর পাড়ের পশ্চিমে সলইম্যার ছড়া-জালিয়াখালী জলকদর খাল সংযোগ কালভার্টের ঢালাই ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। গর্তটি দুর্ঘটনার ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাধারণ পথচারীসহ যানবাহন চলাচল হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসায় যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর বাহাদুর বলেন, 'ডাকবাংলো সড়কের শীলকূপ অংশের প্রায় অর্ধ কিলোমিটারের কার্পেটিং কাজ ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে দু'মাস আগে। সড়কের কার্পেটিং কাজে ব্যবহৃত রোলার গাড়ীর চাপে কালভার্টের একটি অংশ ধ্বসে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় লোকজন যাতায়ত করছে। এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে এখানে বিপজ্জনক কোনো চিহ্ন বা গতিরোধক ব্যবহার করা হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মহির উদ্দিন বলেন, 'ইকোনমিক জোন খ্যাত জালিয়াখালী বাজারের সাথে উপজেলার প্রধান সড়কের সংযোগ ডাকবাংলো সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অসংখ্য রিকশা, সিএনজি ও অটোরিকশাসহ মালবাহী ট্রাক ও যাত্রী চলাচল করে।প্রায় সময় যাত্রীবাহী এসব যানবাহন গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।' মো.সরওয়ার হোসেন নামে আরেকজন বলেন, 'গত কয়েকদিন আগে আঞ্জুমান পাড়া এলাকার মেহেরুন্নেসা নামে এক বয়স্ক মহিলা গর্তে পড়ে পা আঁছড়িয়ে কোনো রকম প্রাণে বেঁচে যায়। এর পরের দিন একটি শিশুও একই গর্তে পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।'
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের ওপর দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কালভার্টটি ভেঙে এখানে জরুরীভিত্তিতে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা অতীত দরকার।
শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কায়েশ সরওয়ার সুমন জানান, 'গত দু'মাস আগে সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ হয়। কালভার্টটি তখন ভাল ছিল। এখন কালভার্টের ঢালাই ধ্বসে বড় গর্তের সৃষ্টি হলে যানবাহনসহ মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তবে সেখানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।'
বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ জানান, 'বিষয়টি তাদের নজরে আছে। এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'রঅনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।
banshkhalijanaphad24@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন