বাঁশখালী জনপদ সত্যপ্রকাশে আপোষহীন

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাথে থাকুন

test

শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পুলিশী হামলা কবে থামবে?

বাঙালির ইতিহাসে ১৯৫২,৫৮,৬৬,৬৯,৭১ সালগুলো বেশ স্মরণীয় হয়ে আছে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের জন্য। এই সালগুলোতে ছাত্ররা পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলো বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়ার জন্য। গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলো অধিকার আদায় করার জন্য। অথচ প্রতিবারই দেখেছি পুলিশের নির্মম আগ্রাসনের শিকার হতে শিক্ষার্থীদের!

স্বাধীনতার পরে এসেও সেই আগ্রাসন কি আদৌ কমেছে.? উত্তর নিঃসন্দেহে না। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৩ বছরের ইতিহাস পড়লে দেখা যাবে ছাত্ররা পদে পদে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পুলিশের নির্মম আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। ২০১৮ সালের "নিরাপদ সড়ক" আন্দোলন একই বছর "বৈষম্যমূলক কোটা বিরোধী" আন্দোলন ২০২৩ সালের "পরীক্ষা পিছানো" র দাবী নিয়ে আন্দোলন তার প্রমাণ। পুলিশি আগ্রাসনে শত শত শিক্ষার্থী অকালে হারিয়েছেন প্রাণ। কারো কারো আবার প্রাণ হারানোর শঙ্কাও ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে এই আগ্রাসনে থেমেছিলো কি ছাত্র সমাজ.? না থামেনি। যতই আগ্রসন হয়েছিলো ঠিক ততটাই আন্দোলন তীব্র হয়েছিলো। ১১ই জুলাই ২০২৪ সালে সারাদেশে যখন "ব্লকেড বাংলা" কর্মসূচি চলছিলো বৈষম্যমূলক কোটার সংস্কারের দাবিতে  ঠিক তখনি চট্টগ্রাম আর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পুলিশি হামলার শিকার হয়। পুলিশ বাহিনী আবার জন্ম দেয় এক ন্যাক্কারজনক ইতিহাসের। তারা ভেবেছিলো আক্রমণে পিছপা হবে ছাত্ররা। কিন্তু না, গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে সংগ্রাম করে গিয়েছে। ত্বরান্বিত করেছে আন্দোলনকে।

চট্টগ্রাম এর কথাই বলি। বরাবরের মতো কম সংখ্যাক ছাত্র নিয়ে পালিত হচ্ছিলো "বাংলা ব্লকেড"। হঠাৎ আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ছাত্ররা, ঠিক তখনি একজন ছাত্রের পুলিশের সামনে শার্ট খুলে দাঁড়িয়ে গুলির সামনে বুক পেতে দেওয়া দেখে আবারোঅনুপ্রাণিত হয়ে ফিরে আসে ছাত্ররা। খবর ছড়িয়ে যেতে না যেতেই চারদিক হতে হাজার হাজার ছাত্র এসে আন্দোলনকে আরো বেগবান করে তোলে। পুরো চট্টগ্রামে প্রায় ২৫০ কি.মি. পর্যন্ত এলাকা ব্লকেড ছিলো সেইদিন। পেরেছে কি দমাতে ছাত্রসমাজকে.? ছাত্রদের উপর আগ্রাসন না থামালে ছাত্ররাও দমবার নয় সেটা পূর্ববর্তী ইতিহাস ও বর্তমান দেখলে জানা যায়।

অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পুলিশি আগ্রাসন আজকের নতুন কিছু না। সেই আগ্রাসনকে ৫২'র ভাষায় জবাব দিন। অনুপ্রেরণা নিন ৬৯'র থেকে। বাঙালির অধিকার আদায়ের চেতনা নিয়ে ছিনিয়ে নিন আপনার অধিকার।

লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ 

(শিক্ষার্থী; মাষ্টার নজির আহমেদ ডিগ্রি কলেজ)





বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com


কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.