advertisment

advertisment
বিজ্ঞাপন দিন

ব্রেকিং নিউজ

মধ্য প্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান


শান্তি সুখ ঐসহ্য সুনাম কে না চায়। পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে কেউ শিকল বন্ধি হয়ে থাকতে চায়না। স্বাধীনতা মানুষের পরম চাওয়া। সোনার থালায় দুধ ভাত দিয়ে লালিত খাঁচার পাখিটিও স্বাধীনভাবে মুক্ত আকাশে উড়তে চায়। মনের ভাব প্রকাশ করে মনের উচ্ছ্বাসে গান গাইতে চায়। প্রাচীনকালে মানুষকে দাসত্বে বাধ্য করা হতো। জোর যার মুল্লুক তার এই নীতিতে মানুষ বিশ্বাসী ছিলো। মারা মারি হানাহানি ছিলো আদিম অসভ্য মানুষের পেশা ও নেশা। যুগ পাল্টেছে এসেছে নতুন সময়। মানুষ সভ্য হয়েছে। নতুন নতুন আবিষ্কারে জীবন প্রণালী পাল্টিয়েছে। সভ্য হওয়া মানে সু সম্পর্ক সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ববোধের জন্ম নেওয়া। মানুষ চায় তার একটি সুনির্দিষ্ট আবাস, যাতে সে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে। যেখানে থাকবেনা ভয়, হিংসা, জিঘাংসা কিবা রক্তপাত। স্বাধীনতা মানুষের অমূল্য সম্পদ। কবি রঙলালের ভাষায়,, 

''বল স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচতে চায়

শিকল পায়ে কে পড়তে চায়।''

কবি পরাধীনতাকে শিকলবদ্ধ পায়ের সাথে তুলনা করেছেন। 

একটি দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 

১. নির্দিষ্ট জনগোষ্টী

২.জনসংখ্য

৩.সরকার 

৪.আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

"যুগ পাল্টেছে এসেছে নতুন সময়। মানুষ সভ্য হয়েছে। নতুন নতুন আবিষ্কারে জীবন প্রণালী পাল্টিয়েছে। সভ্য হওয়া মানে সু সম্পর্ক সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ববোধের জন্ম নেওয়া। মানুষ চায় তার একটি সুনির্দিষ্ট আবাস, সে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে। যেখানে থাকবেনা ভয়, হিংসা, জিঘাংসা কিবা রক্তপাত। স্বাধীনতা মানুষের অমূল্য সম্পদ।"

ফিলিস্তিনের উপযুর্ক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকলেও স্বীকৃতি না থাকায় আজো বিশ্বর বুকে পরাধীন রাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের বিষফুঁড়া ইসরাইল যখনি ইচ্ছা তাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা তাদের প্রতি একচোখা সমর্থন চালিয়ে যাচ্ছে। দিচ্ছে তাদেরকে বিপুল পরিমান গোলা বারুদ অস্ত্র। ফলে রক্ত পিপাসু ইহুদিরা নিরস্ত্র ফিলিস্তানি নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে। স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনীরা যুগের পর যুগ সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। কিন্ত বিধি বাম তারা কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারছেনা। ফলে তাদের ভূখন্ডে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল তাদেরকে নিজ দেশে পরবাসী করে রাখছে। 

সময় বদলেছে। পাল্টিয়েছে যুগ । ফিলিস্তিনি সাহসী যুদ্ধারা মরণপন লড়াই করে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাহসী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় ফিলিস্তানের স্বাধীনতার প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়ে বিশ্ব দরবারে প্রশংশা কুড়িয়েছেন। এভাবে সব মুসলিম দেশ যদি এগিয়ে আসে তাহলে সে দিন বেশি দূরে নয় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনীরা অচিরে স্বাধীনতার অমূল্য স্বাদ গ্রহন করতে পারবে। ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমা রেখা নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সময়ের দাবী। ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা এনে দিতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের বিকল্প নেই। সর্ব প্রথম আরব রাষ্ট্রগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নি:স্ব ফিলিস্তিনিদের অর্থ সহায়তা ও সমর্থন জোগাতে হবে। বর্বর ইসরাইলিদের বিষদাত ভাঙতে তাদের পণ্য বর্জন করতে হবে। তাহলেই কেবল মুক্তিকামী ফিলিস্তিনীরা সফল হবে। বিশ্ব মোড়লদের ইসরাইলের প্রতি অন্যায় সমর্থন বন্ধ করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোন বিকল্প নেই। আসুন আমরা মানবিক হই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পেতিষ্ঠায় মজলুম ফিলিস্তিনবাসীর পাশে দাঁড়াই। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই হতে পারে একমাত্র সমাধানের পথ।

-লেখক: কবি ও কলামিষ্ট

জসীম উদ্দিন মনছুরি






বাঁশখালীজনপদ২৪.কম'অনলাইনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র,  রেখাচিত্র,  ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। যদি কপি করতে হয় তাহলে অনুমতি নিতে হবে অথবা কন্টেন্টের নিচে ক্রেডিট দিয়ে দিতে হবে।

বাঁশখালীজনপদ২৪.কম' বাঁশখালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্পদ-সম্ভার, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে শেকড় থেকে শিকড়ের অনুসন্ধানে সবসময় সচেতন। বাঁশখালীকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তাই, আমাদের সাথে থাকুন। সব খবর সবসময় সবার আগে পেতে ফেইসবুক পেইজ-এ লাইক দিন।

আপনার মেইল পাঠাতে:

banshkhalijanaphad24@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই